জেরুজালেমের মর্যাদা রক্ষায় ইইউ’র আহ্বান, আল-আকসায় প্রবেশ নিষেধাজ্ঞায় উদ্বেগ

ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) জেরুজালেমের বিশেষ মর্যাদা সংরক্ষণে সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। একইসঙ্গে আসন্ন রমজান মাসে আল-আকসা মসজিদে মুসলমানদের প্রবেশে ইসরায়েলের বিধিনিষেধ আরোপের যেকোনো প্রচেষ্টার পরিণতি সম্পর্কে সতর্ক করে দিয়েছে।

আল-আকসা মসজিদের সামনে ইইউ মিশন প্রধানরা

বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) এক বিবৃতিতে ইইউ জেরুজালেম ও রামাল্লায় নিযুক্ত তাদের মিশন প্রধানদের বরাত দিয়ে জানায়, পবিত্র স্থানগুলোর গুরুত্ব স্মরণ করিয়ে দিয়ে পূর্বের সমঝোতা অনুযায়ী স্থিতাবস্থা বজায় রাখার জন্য জোরালো আহ্বান জানাচ্ছে ইইউ ও এর সদস্য রাষ্ট্রগুলো। ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান পালনকারীদের অবশ্যই তাদের পবিত্র স্থানগুলোতে অবাধে প্রবেশের সুযোগ থাকতে হবে।

ইইউ জর্ডানের বিশেষ ভূমিকার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে জেরুজালেম ওয়াকফের মাধ্যমে এই ভূমিকা বাস্তবায়নে তাদের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, জেরুজালেম, এর পুরনো শহরের বিশেষ মর্যাদা ও বৈশিষ্ট্য, এবং এর পবিত্র স্থানগুলোর অলঙ্ঘনীয়তা সংরক্ষণ এবং সকল সম্প্রদায়ের টেকসই অবস্থান সকলের দ্বারা সম্মানিত হওয়া অপরিহার্য। স্থিতাবস্থা পরিবর্তনের যেকোনো একতরফা প্রচেষ্টা অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করবে বলেও ইইউ সতর্ক করে দিয়েছে।

ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, রমজানের প্রস্তুতি হিসেবে ইসরায়েলি পুলিশকে উচ্চ সতর্কতায় রাখা হয়েছে। জেরুজালেম ও আল-আকসা মসজিদের দিকে যাওয়া চেকপয়েন্টগুলোতে দৈনিক তিন হাজার অফিসার মোতায়েনের পরিকল্পনা করা হয়েছে। পুলিশ সরকারকে আল-আকসা মসজিদে প্রবেশের জন্য কেবলমাত্র নির্দিষ্ট বয়সের দশ হাজার ফিলিস্তিনিকে অনুমতি দেওয়ার সুপারিশ করেছে।

ইইউ মিশনের প্রধানরা মঙ্গলবার আল-আকসা মসজিদ পরিদর্শন করেছেন এবং জেরুজালেমে ইসলামিক ওয়াকফ বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। ওয়াকফ বিভাগ আল-আকসায় প্রবেশে আরোপিত বিধিনিষেধ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।