মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদে বহুকষ্টে ট্রাম্প-সমর্থিত ব্যয় বিল পাস

যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি পরিষদে রিপাবলিকানরা কয়েক ট্রিলিয়ন ডলারের সরকারি ব্যয় বিল পাস করেছে। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ২০২৫ সালের এজেন্ডা এগিয়ে নেওয়ার জন্য একটি বড় অগ্রগতি। তবে বিলটি পাস হয়েছে বহুকষ্টে, কয়েকবার ভোটাভুটি স্থগিতের পর। খবর বিবিসি ও সিএনএনের।

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে হাউস স্পিকার মাইক জনসন

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের মেয়াদের প্রথম বছরেই কর কর্তনের পাশাপাশি সীমান্ত সুরক্ষা ব্যবস্থা, অভিবাসী বিতাড়ন এবং সামরিক ব্যয় তহবিলের বিল পাস করেছে যুক্তরাষ্ট্রের পার্লামেন্টের নিন্মকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদ।

মঙ্গলবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় বিলটি ২১৭-২১৫ ভোটে পাস হয়েছে। বিলটি পাস নাও হতে পারে আশঙ্কায় এর আগে একবার ভোট বাতিল করেছেন রিপাবলিকান হাউস স্পিকার মাইক জনসন। কারণ মনে হয়েছিল যে বিলের পক্ষে যথেষ্ট সমর্থন নেই।

স্পিকার জনসন ও দ্বিতীয় সর্বাধিক সিনিয়র হাউস রিপাবলিকান স্টিভ স্কালিস দলের দোদুল্যমান সদস্যদের এই পরিকল্পনার সমর্থনে রাজি করাতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা আলোচনা করেছেন। শুধু তাই নয়, বিলটি পাস করার জন্য ট্রাম্প ব্যক্তিগতভাবে কয়েকজন সদস্যকে ডেকে পরামর্শও দিয়েছেন।

তবে শেষপর্যন্ত বিলটি দলীয় লাইন ধরেই পাস হয়েছে। এতে বিরোধী ডেমোক্র্যাটরা সবাই বিপক্ষে ভোট দিয়েছেন, তাদের সঙ্গে ছিলেন মাত্র একজন রিপাবলিকান। সেই রিপাবলিকান হচ্ছেন কেনটাকির টমাস ম্যাসি, যিনি নিজেই একজন বিশিষ্ট অর্থনৈতিক বিশ্লেষক।

টমাস ম্যাসিসহ বেশ কয়েকজন রিপাবলিকান মূলত বাজেটে আরও আর্থিক শৃঙ্খলা আনতে ৪.৫ ট্রিলিয়ন ডলার কর কর্তন অন্তর্ভুক্তি চেয়েছিলেন। তবে এভাবে আংশিকভাবে ব্যয় কর্তনের মাধ্যমে অর্থায়ন করা হলেও তা মার্কিন সরকারের উল্লেখযোগ্য ঋণের বোঝা বাড়িয়ে দেবে।

তবে শেষপর্যন্তত হাউস বাজেটে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের এজেন্ডা পূরণের জন্য আগামী ১০ বছরে ২ ট্রিলিয়ন ডলার ব্যয় কর্তনের প্রস্তাব রাখা হয়েছে। এতে অবৈধ অভিবাসীদের বিতাড়ন এবং সামরিক খাতে নতুন ব্যয়ের জন্য ১০০ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

তবে আইনে পরিণত হওয়ার জন্য ট্রাম্প প্রশাসনের এ ব্যয় পরিকল্পনাকে এখনও বেশ কয়েকটি ধাপ অতিক্রম করতে হবে। বিলটি এখন যাবে মার্কিন সিনেটে এবং পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষও ট্রাম্পের দলের নেতৃত্বে থাকায় সেখানেও ভোটাভুটিতে তা উৎরে যাবে।

পার্লামেন্টের উভয় কক্ষ চূড়ান্তভাবেই ব্যয় পরিকল্পনায় একমত হলেও বিলটিতে স্বাক্ষরের জন্য প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ডেস্কে পাঠানোর আগে তা চূলচেরা বিশ্লেষণ ও সংশোধন হতে পারে।