অস্ট্রেলিয়ার সৈকতে আটকা পড়েছে ১৫৭টি তিমি

অস্ট্রেলিয়ার প্রত্যন্ত তাসমানিয়া সমুদ্র সৈকতে আটকা পড়েছে ১৫৭টি বিশালকায় তিমি। ২৪ ঘণ্টারও বেশি সময় আটকে থেকে এরইমধ্যে মারা গেছে ৬০টির মতো। কর্তৃপক্ষ বাকি তিমিগুলোকে বাঁচানোর চেষ্টা করছে। খবর বিবিসি ও আল জাজিরার।

তাসমানিয়া সমুদ্র সৈকতে আটকা পড়েছে ১৫৭টি বিশালকায় তিমি

তাসমানিয়ার প্রাকৃতিক সম্পদ ও পরিবেশ বিভাগ জানিয়েছে, দ্বীপের উত্তর-পশ্চিমে আর্থার নদীর কাছে ১৫৭টি তিমির একটি ঝাঁক সমুদ্র সৈকতে আটকা পড়ে। এই বিশাল তিমির দল কেন সৈকতে এসে পড়েছে, সেটির তাৎক্ষণিক কারণ জানা যায়নি।

কর্তৃপক্ষ জানায়, তাসমানিয়ার লন্সেস্টন শহর থেকে প্রায় ৩০০ কিলোমিটার দূরে সৈকতে ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টা ধরে তিমির দলটি আটকে আছে। এরইমধ্যে ৬০টির বেশি তিমি মারা গেছে। প্রায় ৯০টি এখনও জীবিত রয়েছে, যার মধ্যে বেশির ভাগই কম বয়সী।

তিমি সংরক্ষণ বিশেষজ্ঞ এবং পশুচিকিৎসকরা ঘটনাস্থলে অবস্থান করছেন। তারা জীবিত তিমিগুলোকে সমুদ্রে ফিরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছেন।

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে তাসমানিয়ার সৈকতে গণহারে তিমি আটকা পড়ার বেশ কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে। এবার আটকা পড়া তিমির দলটি ‘ফলস কিলার’ শ্রেনির। তিমির এই শ্রেনির বিশাল ঝাঁকের আটকা পড়ার ঘটনা গত ৫০ বছরে এই প্রথম।

‘ফলস কিলার’ তিমি হচ্ছে একটি বিপন্ন প্রজাতি, যা বৃহত্তম ডলফিনের মতো দেখতে এবং হিংস্র নয়। এরা ৬.১ মিটার (২০ ফুট) পর্যন্ত লম্বা হতে পারে এবং ৫০০ কেজি (প্রায় ১,১০০ পাউন্ড) থেকে ৩ টন (৬,৬০০ পাউন্ড) ওজনের হতে পারে।

তিমি অত্যন্ত সামাজিক স্তন্যপায়ী প্রাণী এবং দলবদ্ধভাবে আটকা পড়ার জন্য সুপরিচিত। অস্ট্রেলিয়ান তিমির ৮০শতাংশের বেশি আটকা পড়ার ঘটনা ঘটে তাসমানিয়ার পশ্চিম উপকূলে।

তাসমানিয়ার প্রাকৃতিক সম্পদ বিভাগের মুখপাত্র ব্রেন্ডন ক্লার্ক বলেন, ১৯৭৪ সালের পর থেকে তাসমানিয়ায় এই প্রজাতির ডলফিনের প্রথম আটকা পড়ার ঘটনা এটি।

২০২০ সালে ম্যাককোয়ারি বন্দরে আরও দক্ষিণে ৪৭০টি পাইলট তিমি আটকা পড়েছিল এবং উদ্ধার প্রচেষ্টা সত্ত্বেও তাদের ৩৫০টি মারা যায়। ২০২২ সালে আরও ২০০টি তিমি একই এলাকায় আটকা পড়ে।