ইরানের পাল্টা হুঁশিয়ারি: ‘তারা কিছুই করতে পারবে না’

যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের সাম্প্রতিক হুমকিকে আন্তর্জাতিক আইনের সরাসরি লঙ্ঘন বলে অভিহিত করেছে ইরান। ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও মার্কিন সিনেটর মার্কো রুবিওর মধ্যে জেরুজালেমে বৈঠকের পর তেহরানের পক্ষ থেকে এমন কড়া বক্তব্য দেওয়া হয়েছে।

ইরানের পতাকা

রোববার জেরুজালেমে বৈঠকের পর নেতানিয়াহু দাবি করেন, ইরানের পরমাণু কর্মসূচি এবং মধ্যপ্রাচ্যে এর ক্রমবর্ধমান প্রভাব মোকাবেলায় তারা অটল। তিনি আরও দাবি করেন, গাজা যুদ্ধে ইরানের ওপর ইতিমধ্যেই তীব্র আঘাত হানা হয়েছে এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমর্থন নিয়ে তারা এই কাজ শেষ করবে।

নেতানিয়াহুর এমন বক্তব্যের জবাবে সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) এক সংবাদ সম্মেলনে ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইসমাইল বাঘাই বলেন, `যখন বিষয়টি ইরানের মতো একটি দেশের হয়, তখন তারা কিছুই করতে পারবে না।'

তিনি আরও বলেন, একদিকে ইরানকে হুমকি দেওয়া এবং অন্যদিকে সংলাপের কথা বলা পরস্পরবিরোধী।

প্রসঙ্গত, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তেহরানের সঙ্গে একটি নতুন চুক্তির সম্ভাবনা উন্মুক্ত রেখেছেন। অন্যদিকে, ইরানের বিরুদ্ধে ‘সর্বোচ্চ চাপ’ কৌশল পুনর্ব্যবহার করছেন, যা তার প্রথম মেয়াদে ইরানের পরমাণু কর্মসূচি नিয়ন্ত্রণে ব্যবহার করা হয়েছিল। ২০১৮ সালে ট্রাম্প প্রশাসন বিশ্বশক্তিগুলোর সঙ্গে তেহরানের ২০১৫ সালের পরমাণু চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহার করে নেয় এবং ইরানের উপর নতুন করে কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। এর ফলে ইরানের অর্থনীতি গভীর সংকটে পড়ে। এর প্রতিক্রিয়ায়, পরের বছর ইরান ৬০ শতাংশ পর্যন্ত ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ শুরু করে, যা পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় ৯০ শতাংশের निकটবর্তী। তবে ইরান বরাবরই দাবি করেছে যে, তাদের পারমাণবিক কর্মসূচি সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ।

বিশ্লেষকদের মতে, সাম্প্রতিক ঘটনাবলিতে ইরানের আঞ্চলিক প্রভাব কমেছে। ‘প্রতিরোধ অক্ষ’ নামে পরিচিত ইরানের মিত্ররা, যাদের মধ্যে হামাস, লেবাননের হিজবুল্লাহ, ইয়েমেনের হুথি এবং ইরাকের বিভিন্ন শিয়া সশস্ত্র গোষ্ঠী অন্তর্ভুক্ত, ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

গাজা যুদ্ধ শুরুর পর থেকে ইসরায়েল হামাস ও হিজবুল্লাহর নেতাদের হত্যা করেছে এবং ইসরায়েল ও ইরান একে অপরের বিরুদ্ধে সীমিত আক্রমণ চালিয়েছে।