‘যুদ্ধবিরতি মেনে চলাই ইসরায়েলি জিম্মিদের বাড়িতে ফেরানোর একমাত্র উপায়’

ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ গোষ্ঠী হামাস জানিয়েছে, ইসরায়েলি বন্দিদেরকে গাজা থেকে ফেরানোর একমাত্র উপায় হলো নাজুক যুদ্ধবিরতি চুক্তি মেনে চলা। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাম্প্রতিক হুমকির জবাবে তারা জানায়, ট্রাম্পকে মনে রাখতে হবে, এখানে একটি চুক্তি রয়েছে, যা উভয় পক্ষকে মেনে চলতে হবে। এখানে হুমকির ভাষার কোনো মূল্য নেই এবং এটি শুধু বিষয়টিকে আরও জটিল করে তোলে। মঙ্গলবার হামাসের শীর্ষ কর্মকর্তা সামি আবু জুহরি বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এ কথা বলেন।

ইসরায়েলি বন্দিদের মুক্তি আপাতত বন্ধ রয়েছে

গত ১৯ জানুয়ারি থেকে কার্যকর হওয়া যুদ্ধবিরতির শর্তানুযায়ী হামাস কিছু আটক ব্যক্তিকে ধীরে ধীরে মুক্তি দিচ্ছিল। তবে গত সোমবার তারা জানিয়ে দেয়, হামাস এখন আর কাউকে মুক্তি দেবে না। কারণ গাজার বিভিন্ন জায়গায় হত্যাকাণ্ড এবং সাহায্যবাহী গাড়ি আটকে রাখার মাধ্যমে ইসরায়েল তাদের সঙ্গে যুদ্ধবিরতির চুক্তির শর্ত ভঙ্গ করেছে।

এর পরিপ্রেক্ষিতে ট্রাম্প বলেন, হামাসকে শনিবার দুপুরের মধ্যে সব ইসরায়েলি বন্দিকে মুক্তি দিতে হবে, না হলে তিনি ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধবিরতি বাতিলের প্রস্তাব দেবেন। একই সঙ্গে তিনি বলেছিলেন, ইসরায়েলি নাগরিকদের মুক্তি দেওয়া না হলে তিনি গাজায় নরক গুলজার করে দেবেন।

যুদ্ধবিরতির শর্ত লঙ্ঘনের অভিযোগ অস্বীকার করে ইসরায়েল দাবি করেছে, তারা কেবল তাদের সতর্কতা উপেক্ষা করে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর কাছে আসা লোকদের বিরুদ্ধে গুলি চালিয়েছে। ইসরায়েল সকল বন্দিকে ফিরিয়ে আনার জন্য দৃঢ়প্রতিজ্ঞ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, আমরা তাদেরকে জীবিত বা মৃত ফিরিয়ে আনার জন্য প্রয়োজনে নির্দয় পদক্ষেপও গ্রহণ করব। ইসরায়েলের অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোট্রিচ হামাসের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।

ট্রাম্পের ধারণা অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্র গাজা দখল করে সেখানকার ২০ লাখেরও বেশি ফিলিস্তিনি বাসিন্দাকে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে গাজাকে ‘মধ্যপ্রাচ্যের রিভিয়েরা’তে পরিণত করবে। তার এই প্রস্তাবের বিরোধিতা করেছেন ইসরায়েল ব্যতীত প্রায় সবাই। তারা বলছে, ট্রাম্পের এ পরিকল্পনা গুরুতর অপরাধের শামিল, এটি ব্যর্থ হবেই।