ইসরায়েলি সামরিক বিশ্লেষক: হামাসের নিয়ন্ত্রণেই গাজা

ইসরায়েলের সামরিক বিশ্লেষক ইয়োসি ইয়েহোশুয়া দাবি করেছেন, গাজা উপত্যকায় হামাসের ওপর ইসরায়েলের কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। বরং হামাসই পুরো গাজা উপত্যকার নিয়ন্ত্রণ নিজের হাতে নিয়ে নিয়েছে। শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) ইসরায়েলের আই২৪ নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন।

ফিরে আসা গাজাবাসীকে অভিনন্দন জানাচ্ছেন হামাস সদস্যরা

ইয়েহোশুয়া বলেন, হামাস বলপ্রয়োগসহ নানা উপায়ে গাজা উপত্যকার পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তাদের ওপর ইসরায়েলের কোনো ক্ষমতা বা নিয়ন্ত্রণ নেই। এমনকি যুদ্ধবন্দী বিনিময়ের ক্ষেত্রে ইসরায়েলের কোনো লঙ্ঘন হয়েছে কিনা, তাও হামাসই নির্ধারণ করে।

গাজা থেকে ফিলিস্তিনিদের স্বেচ্ছায় স্থানান্তরের ধারণাকে নাকচ করে দিয়ে তিনি প্রশ্ন তোলেন, কতজন গাজাবাসী এই স্থানান্তর মেনে নেবে?

উল্লেখ্য, গাজা উপত্যকা থেকে ফিলিস্তিনিদের প্রতিবেশী দেশ মিশর ও জর্ডানে স্থানান্তরের যে প্রস্তাব মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দিয়েছেন, তা সংশ্লিষ্ট সব পক্ষই প্রত্যাখ্যান করেছে। ট্রাম্প গাজায় বসবাসের পরিবেশকে ‘অযোগ্য’ বলে আখ্যায়িত করে এই মন্তব্য করেন।

মিশরের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে ফিলিস্তিনিদের অবিচ্ছেদ্য অধিকার লঙ্ঘনের বিরোধিতা করে বলেছে, বসতি স্থাপন, জমি দখল বা স্থানান্তরের মাধ্যমে ফিলিস্তিনিদের তাদের ভূমি থেকে উৎখাত করা, তা সাময়িক বা দীর্ঘমেয়াদী হোক না কেন, মিশর এর বিরোধী। জর্ডানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আইমান সাফাদিও স্থানান্তরের প্রস্তাবকে ‘অপরিবর্তনীয়’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছেন। তিনি বলেন, এটি আমাদের সকলের কাঙ্ক্ষিত স্থিতিশীলতা ও শান্তি অর্জনের জন্য অপরিহার্য।

জাতিসংঘও এই প্রস্তাবের বিরোধিতা করেছে। সংস্থার মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক জোরপূর্বক স্থানান্তর বা জাতিগত নির্মূলের দিকে পরিচালিত করে এমন কোনো পরিকল্পনাকে সমর্থন না করার কথা জানিয়েছেন।

উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে ২০২৫ সালের ১৯ জানুয়ারি পর্যন্ত ইসরায়েলের গাজা অভিযানে দেড় লাখেরও বেশি ফিলিস্তিনি হতাহত হয়েছে। এছাড়াও হাজার হাজার ফিলিস্তিনি এখনও নিখোঁজ রয়েছেন।