ট্রাম্পের গাজা খালি করার প্রস্তাবে আরবদের ‘লাল কার্ড’

গাজা উপত্যকা থেকে ফিলিস্তিনিদের স্থানান্তরের জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দেওয়া প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন আরব পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা। শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) মিশরের রাজধানী কায়রোতে এক বৈঠকের পর যৌথ বিবৃতিতে তারা ফিলিস্তিনিদের ভূমি থেকে উচ্ছেদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ অবস্থান ব্যক্ত করেছেন।

বৈঠকে আরব দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা, ছবি - সংগৃহীত

মিশর, জর্ডান, সৌদি আরব, কাতার, সংযুক্ত আরব আমিরাতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ ও আরব লিগের কর্মকর্তারা এই ধরনের পদক্ষেপকে অঞ্চলের স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ এবং সংঘাত বৃদ্ধিকারক বলে অভিহিত করেছেন। তাদের মতে, এ ধরনের পদক্ষেপ মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠার সম্ভাবনাকেও নস্যাৎ করবে।

“ফিলিস্তিনিদের ভূমি দখল, অধিকৃত ফিলিস্তিন ভূখণ্ডে ইহুদি বসতি স্থাপন এবং ফিলিস্তিনিদের স্থানান্তরসহ তাদের অধিকারের সঙ্গে আপস করার যেকোনো প্রচেষ্টা আমরা প্রত্যাখ্যান করছি," বলা হয়েছে যৌথ বিবৃতিতে।

তারা আরও বলেন, দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধানের ভিত্তিতে মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে কাজ করতে তারা প্রস্তুত।

গত সপ্তাহে ট্রাম্প মিশর ও জর্ডানের মতো আরব রাষ্ট্রগুলোর প্রতি গাজা থেকে ফিলিস্তিনিদের সরিয়ে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন। ট্রাম্পের দাবি, ইসরায়েলি বোমাবর্ষণে গাজা ধ্বংসস্তূপে পরিণত হওয়ায় সেখানকার বাসিন্দাদের স্থানান্তর করে অঞ্চলটি “পরিষ্কার” করা উচিত। তবে সমালোচকরা ট্রাম্পের এ প্রস্তাবকে “জাতিগত নিধন” হিসেবে অভিহিত করেছেন।

২৯ জানুয়ারি মিশরীয় প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসি ট্রাম্পের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে বলেন, গাজাবাসীদের জন্য সব ধরনের সহায়তা করতে তার দেশ প্রস্তুত।

৩০ জানুয়ারি ট্রাম্প পুনরায় তার প্রস্তাবের পক্ষে সাফাই গেয়ে মিশর ও জর্ডানের প্রতি মার্কিন সামরিক সহায়তার কথা উল্লেখ করেন।

উল্লেখ্য, জর্ডানে ইতোমধ্যেই লাখ লাখ ফিলিস্তিনি শরণার্থী বাস করছে। মিশর ও জর্ডানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ট্রাম্পের প্রস্তাব আনুষ্ঠানিকভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে।

সূত্র: রয়টার্স