কঙ্গোতে সংঘর্ষে সাতদিনে ৭ শতাধিক প্রাণহানি

মধ্য আফ্রিকার দেশ গণতান্ত্রিক কঙ্গোর বৃহত্তম শহর গোমায় সংঘর্ষে সাতদিনে কমপক্ষে ৭০০ জন নিহত হয়েছে। রুয়ান্ডা সমর্থিত বিদ্রোহী গোষ্ঠী এম২৩ দেশটির দক্ষিণ কিভু প্রদেশের রাজধানী শহর গোমা দখলে নিয়ে এ সংঘাত চালিয়ে যাচ্ছে। খবর বিবিসির।

ডিআর কঙ্গোতে তুতসি বিদ্রোহীদের ঠেকাতে সেনাবাহিনীর প্রতিরক্ষাব্যূহ

জাতিসংঘ আজ শনিবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, জাতিগত তুতসি বিদ্রোহী গোষ্ঠী এম২৩ গত রবিবার থেকে উত্তর কিভু প্রদেশের রাজধানী শহর গোমা দখলে নিয়ে সংঘাত চালিয়ে যাচ্ছে।

জাতিসংঘ জানিয়েছে, রবিবার থেকে পূর্বাঞ্চলীয় গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্রের বৃহত্তম শহর গোমায় তীব্র লড়াইয়ে কমপক্ষে ৭০০ জন নিহত হয়েছে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।

জাতিসংঘের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক বলেন, রুয়ান্ডার সমর্থিত এম২৩ বিদ্রোহীদের হামলায় গত রবিবার থেকে এ পর্যন্ত ৭০০ জন নিহত এবং ২৮০০ জন আহত হয়েছে।

উত্তর কিভুর গোমা দখল করার পর বিদ্রোহীরা দক্ষিণের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। তারা দক্ষিণ কিভু প্রদেশের রাজধানী বুকাভুর দিকে অগ্রসর হচ্ছে।

গণতান্ত্রিক কঙ্গোতে ১৯৯০-এর দশকে শুরু হওয়া সংঘাত সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে অতিমাত্রায় বৃদ্ধি পেয়েছে।

জাতিগত তুতসিদের সমন্বয়ে গঠিত এম২৩ বিদ্রোহীরা বলছে, তারা সংখ্যালঘু অধিকারের জন্য লড়াই করছে।

অন্যদিকে কঙ্গো সরকারের দাবি, রুয়ান্ডা-সমর্থিত বিদ্রোহীরা পূর্বাঞ্চলের বিশাল খনিজ সম্পদের নিয়ন্ত্রণ নিতে এ সংঘাত শুরু করেছে।

কঙ্গোর পররাষ্ট্রমন্ত্রী থেরেস কাইকওয়াম্বা ওয়াগনার বলেছেন, রুয়ান্ডা অবৈধভাবে কঙ্গোকে দখল করছে এবং শাসনব্যবস্থা পরিবর্তনের চেষ্টা করছে।

কঙ্গোর সামরিক বাহিনী এম২৩ বিদ্রোহীদের থামাতে গোমা ও বুকাভুর মধ্যবর্তী রাস্তায় প্রতিরক্ষাব্যূহ তৈরি করেছে। বুকাভুকে রক্ষায় সেনাবাহিনীর সঙ্গে শত শত বেসামরিক স্বেচ্ছাসেবক যোগ দিয়েছে।

তবে বিদ্রোহীরা কঙ্গোর রাজধানী কিনশাসায় না পৌঁছানো পর্যন্ত আক্রমণ চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। এম২৩-এর সঙ্গে রুয়ান্ডার ৩ থেকে ৪ হাজার সেনা কাজ করছে বলে অভিযোগ কঙ্গোর।