ওয়াশিংটনে বিমান-হেলিকপ্টার সংঘর্ষে সব যাত্রীর মৃত্যুর আশঙ্কা

ওয়াশিংটন ডিসির (যুক্তরাষ্ট্র) নিকটবর্তী রোনাল্ড রিগ্যান জাতীয় বিমানবন্দরের কাছে বুধবার এক ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনায় আমেরিকান এয়ারলাইন্সের একটি যাত্রীবাহী বিমানের সকল যাত্রী ও ক্রুর মৃত্যুর আশঙ্কা করা হচ্ছে। বিমানটি অবতরণের সময় একটি সেনা হেলিকপ্টারের সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত হয় এবং পরবর্তীতে পোটোম্যাক নদীতে আছড়ে পড়ে।

ছবি - সংগৃহীত

বিমানটিতে ৬০ জন যাত্রী এবং ৪ জন ক্রু সদস্য ছিলেন। হেলিকপ্টারে ছিলেন তিনজন সৈনিক। দুর্ঘটনার পরপরই নদীতে ব্যাপক উদ্ধার অভিযান শুরু হয়। এখন পর্যন্ত অন্তত ২৮ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। কর্মকর্তারা আশঙ্কা করছেন, দুর্ঘটনায় কেউই বেঁচে নেই। যদি তাই হয়, তবে ২০০৯ সালের পর এটিই হবে আমেরিকার সবচেয়ে ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনা।

উদ্ধারকৃতদের মধ্যে রয়েছেন বিশ্বখ্যাত দুই রুশ ফিগার স্কেটার, এভজেনিয়া শিশকোভা এবং ভাদিম নাউমভ। তারা বোস্টনের একটি স্কেটিং ক্লাবে কোচিং করছিলেন। বিমানটিতে ফিগার স্কেটিং সম্প্রদায়ের সঙ্গে যুক্ত আরও কয়েকজন ব্যক্তি ছিলেন।

বিমানের ধ্বংসাবশেষ তিন খণ্ডে বিভক্ত হয়ে পোটোম্যাক নদীর অগভীর জলে উল্টে পড়েছিল। হেলিকপ্টারের ধ্বংসাবশেষও উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধার অভিযানে মার্কিন কোস্ট গার্ডসহ বিভিন্ন সংস্থা অংশ নিয়েছে। প্রেসিডেন্ট এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন এবং উদ্ধারকর্মীদের প্রশংসা করেছেন।

জাতীয় পরিবহন সুরক্ষা বোর্ড (এনটিএসবি) এবং ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফএএ) দুর্ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। দুর্ঘটনার পর রোনাল্ড রিগ্যান বিমানবন্দরের সব ফ্লাইট বন্ধ করে দেওয়া হলেও পরের দিন সকালে বিমানবন্দরের কার্যক্রম আবার শুরু হয়। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই সংঘর্ষকে প্রতিরোধযোগ্য বলে অভিহিত করেছেন এবং সামরিক হেলিকপ্টারের কার্যকলাপ ও বিমান চলাচল নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।

এই ঘটনাটি প্রায় ২৪ বছরের মধ্যে আমেরিকার সবচেয়ে ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনা। এই মর্মান্তিক ঘটনার সঠিক কারণ নির্ণয়ের জন্য তদন্ত চলছে।