গোলান মালভূমি থেকে সেনা প্রত্যাহার করবে না ইসরায়েল

ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ জানিয়েছেন, সিরিয়ার গোলান মালভূমির বাফার জোন বা নিরস্ত্রীকরণ এলাকা থেকে ইসরায়েলি বাহিনী প্রত্যাহার করা হবে না। তারা অনির্দিষ্টকালের জন্য সেখানে অবস্থান করবে।

ইসরায়েল কাটজ

মঙ্গলবার ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর সদস্যদের পরিদর্শনে অধিকৃত গোলান মালভূমিতে যান কাটজ। সেখানে তিনি বলেন, ইসরায়েলি সেনাবাহিনী মাউন্ট হারমন (জাবাল আল-শেখ) এবং নিরস্ত্রীকরণ অঞ্চলে অনির্দিষ্টকালের জন্য থাকবে। গোলান মালভূমি এবং উত্তর ইসরায়েলের বাসিন্দাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য তাদের এখানে অবস্থান করতে হবে।

কাটজ বলেন, দক্ষিণ সিরিয়ার নিরাপদ অঞ্চলে শত্রু বাহিনী যেন নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করতে না পারে সেটি নিশ্চিত করবে ইসরায়েলি বাহিনী। “আমরা যেকোনো হুমকির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব।”

প্রতিরক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, দক্ষিণ সিরিয়ার বিস্তৃত অঞ্চলে বসবাসকারী যেসব সম্প্রদায় ইসরায়েলের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রাখতে চায়, তাদের সঙ্গে তারা যোগাযোগ করবেন। বিশেষ করে বৃহত্তম দ্রুজ সম্প্রদায়ের সঙ্গে তারা এ ধরনের সম্পর্ক স্থাপন করতে আগ্রহী। কারণ ইসরায়েলে বসবাসকারী দ্রুজদের সঙ্গে সিরিয়ান দ্রুজদের ঐতিহাসিক এবং ঘনিষ্ঠ পারিবারিক সম্পর্ক রয়েছে।

এদিকে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী মঙ্গলবার ভোরে জানিয়েছে, তারা সিরিয়ার অধিকৃত গোলান মালভূমিতে সামরিক সরঞ্জাম স্থানান্তর ও স্থাপন করেছে।

গত বছরের ৮ ডিসেম্বর সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের বাহিনীর পতনের পর নিরস্ত্রীকরণ এই অঞ্চলটি দখল করে নেয় ইসরায়েলি বাহিনী। এর ফলে সিরিয়ার সঙ্গে ১৯৭৪ সালের বিচ্ছিন্নতা চুক্তি লঙ্ঘন করে ইসরায়েল। এ ধরনের পদক্ষেপের ফলে গোলান মালভূমিতে ইসরায়েলের নিয়ন্ত্রণ প্রসারিত হয়। ১৯৬৭ সালের যুদ্ধের পর গোলান মালভূমির বেশিরভাগ অঞ্চল দখল করে রেখেছে ইসরায়েল।  

ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু গত ডিসেম্বরে জানিয়েছিলেন, গোলান মালভূমির নিরস্ত্রীকরণ এলাকার দখল সাময়িক ছিল। তবে এই এলাকা থেকে সেনাবাহিনীর প্রত্যাহারের তারিখ নির্দিষ্ট করেননি তিনি।

সূত্র: আনাদোলু এজেন্সি