ইরান: ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ হয়নি

ডোনাল্ড ট্রাম্প হোয়াইট হাউসে ফিরে আসার পর থেকে ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে কোনো বার্তা বিনিময় হয়নি বলে জানিয়েছেন ইরানি উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাজিদ তখত রাভাঞ্চি। সোমবার ইরানি বার্তা সংস্থা আইএসএনএ এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে।

মাজিদ তখত রাভাঞ্চি

রাভাঞ্চি বলেন, নতুন মার্কিন প্রশাসনের দায়িত্ব নেওয়ার মাত্র কয়েক দিন হয়েছে। এর মধ্যে দুই দেশের মধ্যে কোনো বার্তা বিনিময় হয়নি। 

ট্রাম্প তার প্রেসিডেন্সির প্রথম মেয়াদে ইরানের ওপর সর্বোচ্চ চাপের নীতি অনুসরণ করেছিলেন। তিনি একটি যুগান্তকারী পারমাণবিক চুক্তি থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহার করেছিলেন। ২০১৫ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার সময়ে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, জার্মানি, রাশিয়া এবং চীনের সঙ্গে  একটি পারমাণবিক চুক্তিতে সই করেছিল ইরান। এই চুক্তি অনুযায়ী পারমাণবিক কর্মসূচী সীমিত করার বিনিময়ে ইরানের উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা উঠিয়ে নেওয়া হয়। 

'জয়েন্ট কমপ্রিহেনসিভ প্ল্যান অব অ্যাকশন' নামের পারমাণবিক চুক্তিটি ইরান প্রথমে মেনে চলছিল, তবে ট্রাম্প চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে সরিয়ে আনার পর এটি মেনে চলার বাধ্যবাধকতা শেষ হয়ে যায়। এরপর এই চুক্তিটি পুনরুজ্জীবিত করার একাধিক প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে।     

অবশ্য ইরান বারবার পারমাণবিক চুক্তিটি পুনরুজ্জীবিত করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছে। গত বছরের জুলাই মাসে দায়িত্ব নেওয়ার পর ইরানি প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান এই চুক্তি নিয়ে আলোচনা পুনরায় শুরু করার আগ্রহ ব্যক্ত করেছেন।    

ট্রাম্প আনুষ্ঠানিকভাবে হোয়াইট হাউসে ফিরে আসার আগে অর্থাৎ চলতি মাসের শুরুতে ইরানি কর্মকর্তারা ব্রিটেন, ফ্রান্স এবং জার্মানির সঙ্গে পারমাণবিক চুক্তির বিষয়ে আলোচনা করেছিলেন। উভয় পক্ষই আলোচনাকে 'অকপট ও গঠনমূলক' বলে উল্লেখ করেছিল।   

সে সময় ইরানের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, এটি তৃতীয় দফার আলোচনা। এর আগে গত বছর জেনেভায় এবং নিউইয়র্কে দুই দফা আলোচনা হয়েছিল। তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, এক মাসের মধ্যেই আরেক দফা আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে। তবে এখনও সময় নির্ধারণ করা হয়নি।  

সোমবার তিনি বলেন, 'আমাদের শান্তভাবে এবং ধৈর্যের সঙ্গে পরিকল্পনা করতে হবে। যখন অন্য পক্ষের (ট্রাম্প) নীতি ঘোষণা করা হয়, তখন আমরা সেই অনুযায়ী কাজ করি।'    

এদিকে গত সপ্তাহে ট্রাম্প জানিয়েছিলেন, তিনি একটি চুক্তির আশায় ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় সামরিক হামলা এড়াতে চান। 

সূত্র: দ্য নিউ আরব