শিক্ষার্থীদের দল গঠন: তারেকের স্বাগত, তবে রাষ্ট্রীয় সমর্থনে সতর্কবার্তা

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান গত বছরের আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের রাজনৈতিক দল গঠনের পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছেন। তবে রাষ্ট্রীয় ও বর্তমান প্রশাসনের সমর্থন পেলে তা জনগণকে হতাশ করবে বলে সতর্ক করেছেন তিনি।

তারেক রহমান

শনিবার জাতীয় শিক্ষক দিবস উপলক্ষে জাতীয় শিক্ষক কর্মচারী ঐক্য জোট আয়োজিত এক আলোচনা সভায় ভার্চুয়ালি যোগ দিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানটি বাংলাদেশ প্রকৌশল ইনস্টিটিউশনে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৮৯তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে অনুষ্ঠিত হয়।

তারেক রহমান বলেন, “দেশের শিক্ষার্থী ও তরুণরা রাষ্ট্র ও রাজনৈতিক ব্যবস্থায় আগ্রহী হয়ে উঠেছে, যা অবশ্যই ইতিবাচক।” তিনি উল্লেখ করেন, গত দেড় দশকে একবারও ভোট দিতে পারেননি তরুণরা।

“গণতান্ত্রিক ও রাজনৈতিক অধিকার বঞ্চিত এই তরুণদের কেউ যদি জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য নতুন রাজনৈতিক দল গঠন করে, বিএনপি অবশ্যই এই উদ্যোগকে স্বাগত জানায়। কিন্তু কেউ যদি রাজনৈতিক দল গঠনের জন্য রাষ্ট্রীয় ও প্রশাসনিক সহায়তা চায়, তা জনগণকে হতাশ করবে।”

নতুন দল গঠনকারীদের আচরণ যদি অন্য রাজনৈতিক দলের প্রতি বিদ্বেষপূর্ণ হয়, তাও জনগণের কাছে অবাঞ্ছিত হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

“আজকের তরুণরাই বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ। অতীত থেকে বেরিয়ে এসে নতুন পথ তৈরি করবে তরুণরা। কিন্তু পথটি হতে হবে স্বচ্ছ ও স্বাভাবিক,” বলেন তারেক।

তিনি অন্তর্বর্তী সরকার ইস্যুতে অযথা বিতর্ককে সময়ের অপচয় বলে মনে করেন। একই সঙ্গে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, “জনগণ যদি সরকারের ব্যর্থতা ধৈর্য্য সহকারে মেনে নিতে পারে, তাহলে সরকারে থাকা ব্যক্তিদের আরও বেশি ধৈর্য্য ও সহনশীলতা থাকা জরুরি।”

তারেক রহমান বলেন, বিএনপি জনকল্যাণের জন্য রাজনীতি করে এবং তাদের লক্ষ্য জনগণের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ক্ষমতা নিশ্চিত করা।

“নির্বাচন ব্যবস্থা নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি করার অর্থ পরাজিত ফ্যাসিবাদী শক্তির অবস্থান শক্তিশালী করা,” বলে দলীয় নেতাকর্মীদের এ ব্যাপারে সতর্ক থাকার নির্দেশ দেন তিনি।

“বিএনপির রাজনৈতিক শক্তির উৎস জনগণ, এবং জনগণ যতদিন আমাদের সঙ্গে থাকবে, কোনো ষড়যন্ত্রই আমাদের পরাজিত করতে পারবে না ইনশাআল্লাহ্‌ ,” বলেন তারেক রহমান।

তারেক রহমানের এই বক্তব্যের প্রেক্ষিতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অন্তর্বর্তী সরকারে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ নিয়ে সরকারের নিরপেক্ষতা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন। আন্দোলনকারী ছাত্রনেতা ও তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম ফখরুলের বক্তব্যের জবাবে বলেছেন, বিএনপি ‘১/১১’ এর মতো সরকারকেই পছন্দ করবে।