গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হচ্ছে রোববার সকালে

কাতারের মধ্যস্থতায় ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি রোববার সকাল সাড়ে ৮টায় (গাজার স্থানীয় সময়) কার্যকর হবে বলে জানিয়েছে কাতার।

গাজা উপত্যকার ছবি

কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাজেদ আল-আনসারি এক্সে (টুইটার) এক পোস্টে জানান, চুক্তির সকল পক্ষ এবং মধ্যস্থতাকারীদের সম্মতিতে গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতি রোববার, ১৯ জানুয়ারি সকাল ৮টা ৩০ মিনিটে (গাজার স্থানীয় সময়) শুরু হবে। তিনি বাসিন্দাদের সতর্কতা অবলম্বন এবং সরকারি নির্দেশনার জন্য অপেক্ষা করার পরামর্শ দিয়েছেন।

যুদ্ধবিরতির সঠিক সময় নিয়ে কিছুটা ধোঁয়াশা থাকলেও, ইসরায়েলি মন্ত্রিসভা শনিবার বন্দী বিনিময় চুক্তি অনুমোদন করে জানিয়েছে, ১৪০০ জিএমটির আগে কোনো বন্দী মুক্তি পাবে না।

ইসরায়েলের বিচার মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, যুদ্ধবিরতির প্রথম পর্যায়ে ৭৩৭ জন বন্দী মুক্তি পাবে। মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সরকার বর্তমানে কারাগারে থাকা ৭৩৭ জন বন্দী ও আটক ব্যক্তিকে মুক্তি দেওয়ার অনুমোদন দিয়েছে।

ফিলিস্তিনি জঙ্গি সংগঠন হামাসও শনিবার জানিয়েছে, ইসরায়েলি বন্দীদের মুক্তির প্রক্রিয়া নির্ভর করবে ইসরায়েল কতজন ফিলিস্তিনি বন্দী মুক্তি দেয় তার ওপর। হামাসের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বুধবার ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পাদিত যুদ্ধবিরতি চুক্তির শর্ত অনুযায়ী, বিনিময়ের একদিন আগে মুক্তি পাওয়া ফিলিস্তিনি বন্দীদের তালিকা প্রকাশ করা হবে।

প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয় জানিয়েছে, ইসরায়েলি মন্ত্রিসভা শনিবার ভোরে যুদ্ধবিরতি চুক্তি অনুমোদন করেছে।

বিচার মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রকাশিত তালিকায় পুরুষ, মহিলা এবং শিশুদের নাম রয়েছে, যাদের রোববার স্থানীয় সময় বিকেল ৪টার (১৪০০ জিএমটি) আগে মুক্তি দেওয়া হবে না। এর আগে, মন্ত্রণালয় ৯৫ জন ফিলিস্তিনি বন্দীর (বেশিরভাগই নারী) একটি তালিকা প্রকাশ করেছিল, যাদের গাজায় ইসরায়েলি বন্দীদের বিনিময়ে মুক্তি দেওয়া হবে।

বর্ধিত তালিকায় ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের ফাতাহ দলের সশস্ত্র শাখার প্রধান জাকারিয়া জুবেইদির নামও রয়েছে। ২০২১ সালে পাঁচজন ফিলিস্তিনির সঙ্গে ইসরায়েলের গিলবোয়া কারাগার থেকে পালিয়ে যাওয়া জুবেইদিকে ফিলিস্তিনিরা নায়ক হিসেবে সম্মান করে।

অন্যান্যদের মধ্যে রয়েছেন খালিদা জারার, একজন বামপন্থী ফিলিস্তিনি আইনপ্রণেতা, যাকে ইসরায়েল বেশ কয়েকবার গ্রেপ্তার ও কারাদণ্ড দিয়েছে।

হামাসের ঘনিষ্ঠ দুটি সূত্র জানিয়েছে, মুক্তি পাওয়া প্রথম দলটিতে তিনজন ইসরায়েলি নারী সৈনিক রয়েছেন।