চলছে শততম টেস্ট, পিছনে গলের দুঃসহ স্মৃতি

কলম্বোর পি সারায় এক দিন খেলে গিয়েছিলেন ডন ব্র্যাডম্যান। ক্রিকেট ইতিহাসের সবচেয়ে সেরা ব্যাটসম্যান। তার স্মৃতিবিজড়িত মাঠেই নিজেদের শততম টেস্ট খেলতে নেমেছে বাংলাদেশ। আর এই মাহেন্দ্রক্ষণে মুশফিকদের মনে কাঁটার মতো বিঁধে আছে গল টেস্টের দুঃসহ স্মৃতি।

গলে অপেক্ষাকৃত তরুণ শ্রীলঙ্কার কাছে বিশাল ব্যবধানে হেরেছেন মুশফিকরা। ফলে দুই ম্যাচের সিরিজে তারা পিছিয়ে আছেন ১-০ ব্যবধানে। আজ থেকে কলম্বোতে শুরু হওয়া টেস্টেও যদি হেরে যান মুশফিকরা, তবে শততম টেস্ট উদযাপন দূরে থাক, পেতে হবে হোয়াইটওয়াশের লজ্জা। কয়েক দশকের ইতিহাসে দুর্বলমত শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে!

শততম টেস্ট বলেই উচ্ছ্বাসে ভেসে যাওয়ার সুযোগ তাই মুশফিকদের একদমই নেই। বরং পেশাদারিত্বের মোড়কে ঢুকে আজ থেকেও ভালো খেলার পুরোনো প্রত্যয় নিয়েই মাঠে নামছেন মুশফিক- সাকিবরা।

শততম টেস্টের ঠিক আগের দিন এ কথাই বলেছেন বাংলাদেশের অধিনায়ক। মুশফিক বলেন, ‘শততম টেস্ট বলেই যে বেশি চাপ, সে রকম নয়। প্রতিটি টেস্টই সমান চাপের। আমরা তাই আর দশটা ম্যাচের মতোই এটি খেলবো। গলে যে ভুলগুলো হয়েছিলো তা শোধরানের চেষ্টা করবো।’

শততম টেস্টে বাংলাদেশ খেলতে নেমেছে ৯৯তম টেস্ট দলে চারটি পরিবর্তন এনে। বাদ পড়েছে মুমিনুল হক, মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ, লিটন কুমার দাস ও তাসকিন আহমেদ। তাদের বদলে দলে ঢুকেছেন ইমরুল কায়েস, সাব্বির রহমান, মোসাদ্দেক হোসেন ও তাইজুল ইসলাম। এই ম্যাচ দিয়েই অভিষেক হলো মোসাদ্দেকের। প্রথম শ্রেনির ক্রিকেটে দুর্দান্ত ব্যাটিং করে অনেক দিন ধরেই টেস্টের দরজায় কড়া নাড়ছিলেন তিনি।

বড় পরিবর্তন এলেও মুশফিকের মনোযোগ এ দিকে নয়। তিনি বরং স্বপ্ন দেখছেন শততম টেস্টকে স্মরণীয় করে রাখতে। অধিনায়ক আগেই বলে রেখেছেন, ‘এটা বাংলাদেশের জন্য ঐতিহাসিক মুহূর্ত। আমরা এই মুহূর্তে ভালো কিছু করতে চাই। দল হিসেবে পারফর্ম করতে চাই এবং অবশ্যই মাঠ ছাড়তে চাই জয় নিয়ে।’

পি সারায় বাংলাদেশের রেকর্ড খুব একটা ভালো নয়। মুশফিকের চাওয়াগুলো পূরণ হবে কি হবে না, তা নির্ভর করছে তাদের দুর্দান্ত পারফর্মের উপর। দলে চার চারটি পরিবর্তন এসেছে পারফর্মের আশায়-ই। কিন্তু আশা কি পূরণ হবে বাংলাদেশের? নাকি গলের জীর্ণতার পাখি কালো ছায়া ফেলবে কলম্বোতেও?