নাটকের নতুন দৃশ্য, আপাতত থেকে যাচ্ছেন মাহমুদুল্লাহ

জাতীয় দলের প্রতিষ্ঠিত পাঁচ ক্রিকেটারের একজন তিনি। অথচ তাকে নিয়েই চলছে বাংলাদেশ ক্রিকেটের কুৎসিততম ‘নাটক’গুলোর একটি। মাহমুদুল্লাহ রিয়াদকে নিয়ে চলা নাটকের নতৃন দৃশ্য হলো— আপাতত তিনি শ্রীলঙ্কাতেই থেকে যাচ্ছেন।

আপাতত থেকে যাচ্ছেন মানে বোর্ড থেকে এখনো তার ফেরা না ফেরা নিয়ে সুনিশ্চিত কিছু বলা হয়নি। জানা গেছে, শততম টেস্ট উপলক্ষ্যে শ্রীলঙ্কা যাচ্ছেন বিসিবির একদল কর্মকর্তা। সেখানে থাকবেন বোর্ড প্রধানও। তিনি গিয়েও মাহমুদুল্লাহর সঙ্গে কথা বলে সিদ্ধান্ত নিবেন।

জানা গেছে, গল টেস্টের বাজে ফর্মের কারণে রিয়াদকে ওয়ানডে সিরিজ থেকেও বাদ দিয়ে দেয়ার এবং দেশে ফেরত পাঠানোর নজিরবিহীন সিদ্ধান্তটা নিয়েছিলেন প্রধান কোচ চান্দিকা হাথুরুসিংহে। পদটা প্রধান কোচের হলেও বিসিবির দেয়া অবারিত স্বাধীনতায় চান্দিকার পদটা আসলে হয়ে গেছে— ‘সর্বেসর্বা’ গোছের।

বাজে পারফর্ম্যান্সের জন্য সিরিজের মাঝপথে কোনো ক্রিকেটারকে দেশে ফেরত পাঠানোর মতো অপেশাদারিত্ব বাংলাদেশ আগে কখনোই দেখায়নি। তবে ইনজুরি বা গুরুতর শৃঙ্খলাভঙ্গের ব্যাপার আলাদা। সে সব ক্ষেত্রে কোনো ক্রিকেটারকে দেশে পাঠানোর ঘটনা ঘটেই। যেমন ২০১৫ বিশ্বকাপেই দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছিলো আল আমিনকে।

যা হোক, কোচের সিদ্ধান্তকেই ‘টিম ম্যানেজমেন্টের’ সিদ্ধান্ত বলে প্রচার করে আজ সকালেই রিয়াদকে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেয়ার সব প্রস্তুতিই মোটামুটি নেয়া হয়েছিলো। যদিও গতকাল বোর্ড প্রধান প্রকাশ্যে বলছেন যে, রিয়াদকে দেশে পাঠানোর মতো কিছু তিনি শোনেননি। তিনি বলছেন যে, হয়তো স্বেচ্ছায়ই রিয়াদ দেশে ফিরতে চেয়েছেন।

রিয়াদ স্বেচ্ছায় কেনো দেশে কেনো ফিরতে চাইবেন— সে বিষয়ে অবশ্য বোর্ড প্রধানের কোনো মন্তব্য মিলেনি। সবচেয়ে বড় কথা হলো, টেস্টের বাজে ফর্মের জন্য কোচ কেনো সীমিত ওভার ফরম্যাটের সেরা ক্রিকেটারদের একজনকে বাদ দিয়ে দিবেন, সে বিষয়ে কিছু বলেননই বোর্ড প্রধান।