উন্নত চিকিৎসার জন্য লন্ডন গেলেন খালেদা জিয়া

বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া মঙ্গলবার রাতে উন্নত চিকিৎসার জন্য লন্ডনের উদ্দেশ্যে ঢাকা ত্যাগ করেছেন। কাতারের আমিরের বিশেষ ব্যবস্থায় প্রেরিত একটি এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে তিনি রাত ১১টা ৪৬ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে রওনা হন। দীর্ঘদিন ধরেই তিনি লিভার সিরোসিসসহ নানা জটিল স্বাস্থ্য সমস্যায় ভুগছেন।

ছবি - সংগৃহীত

বিএনপির মিডিয়া সেল সদস্য শায়রুল কবির খান জানান, কাতার রাজপরিবারের এয়ারবাস এ৩১৯ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি দোহা হয়ে লন্ডনে যাবে। বিমানটিতে চারজন রাজকীয় চিকিৎসক ও প্যারামেডিকসহ খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত মেডিকেল বোর্ডের ছয় সদস্যও সফরসঙ্গী হিসেবে রয়েছেন। তার সঙ্গে পুত্রবধূ সৈয়দা শারমিন রহমান, উপদেষ্টা এনামুল হক চৌধুরী, তাবিথ আউয়াল এবং ব্যক্তিগত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা আছেন।

গুলশানের বাসভবন ফিরোজা থেকে রাত ৮টা ১৫ মিনিটে খালেদা জিয়া বের হলে বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মীর উপস্থিতিতে তার গাড়িবহর বিমানবন্দরের দিকে রওনা দেয়। রাস্তার মোড়ে মোড়ে নেতাকর্মীরা প্রিয় নেত্রীকে বিদায় জানান। এই কারণে বিমানটি নির্ধারিত সময়ের প্রায় দুই ঘণ্টা পরে উড্ডয়ন করে।

বিমানবন্দরে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ দলের জ্যেষ্ঠ নেতারা খালেদা জিয়াকে বিদায় জানান। পরে মির্জা ফখরুল সাংবাদিকদের বলেন, মিথ্যা মামলায় কারারুদ্ধ খালেদা জিয়া কারাগারে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। তার চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেওয়ার জন্য সরকারের কাছে বারবার আবেদন করা হলেও তা আমলে নেওয়া হয়নি। ‘

জনগণের আন্দোলনে সরকারের পতনের পর সকল মিথ্যা মামলা থেকে মুক্তি পেয়ে আমাদের নেত্রী আজ চিকিৎসার জন্য লন্ডন যাচ্ছেন,’ বলেন তিনি। খালেদা জিয়া সুস্থ হয়ে দেশে ফিরে আসবেন বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

বিএনপির যুক্তরাজ্য শাখার সূত্র মতে, দোহায় এক ঘণ্টা যাত্রাবিরতির পর খালেদা জিয়া বুধবার সকাল ১১টা ৩০ মিনিটে (লন্ডন সময়) হিথ্রো বিমানবন্দরে পৌঁছাবেন। সেখানে তারেক রহমান ও তার পরিবার তাকে স্বাগত জানাবেন। হিথ্রো বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ তাকে ভিআইপি প্রটোকল প্রদান করবে বলে জানা গেছে।

লন্ডনে ‘দ্য লন্ডন ক্লিনিক’-এ খালেদা জিয়ার চিকিৎসা করা হবে। চিকিৎসকরা তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে পরবর্তী চিকিৎসার পদ্ধতি নির্ধারণ করবেন। লিভার সিরোসিস, হৃদরোগ, কিডনির সমস্যা ও পোস্ট-কোভিড জটিলতাসহ তার বিভিন্ন শারীরিক জটিলতার চিকিৎসা করা হবে। প্রয়োজনে লিভার প্রতিস্থাপনের বিষয়টি বিবেচনা করা হবে বলে জানা গেছে। স্বাস্থ্যের উন্নতি হলে তিনি দেশে ফেরার পথে উমরাহ পালন করতে পারেন।