কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে হামলা: জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবি জাতীয় বিপ্লবী পরিষদের

কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আয়োজিত জাতীয় বিপ্লবী পরিষদের সমাবেশে হামলার ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি। শনিবার সন্ধ্যায় এক যৌথ বিবৃতিতে দলটির রাজনৈতিক প্রধান আনিসুর রহমান ও সাংগঠনিক প্রধান মো. শফিউর রহমান এই দাবি জানান।

জাতীয় বিপ্লবী পরিষদের লোগো

বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, শনিবার বেলা ২টায় জুলাইয়ের শহীদ পরিবারের সদস্যদের নিয়ে জাতীয় বিপ্লবী পরিষদের সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছিল। বিকাল ৪টায় সমাবেশে গণঅধিকার পরিষদের মুখপাত্র ফারুক হাসান বক্তব্য রাখেন। এর কিছুক্ষণ পর তিনি অনুষ্ঠান থেকে বের হয়ে যাওয়ার সময় কয়েকজন ব্যক্তি তার ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। হামলাকারীরা সমাবেশে চেয়ার ভাঙচুর ও ছোড়াছুড়ি করলে উপস্থিত জুলাইয়ের শহীদদের নারী সদস্য ও শিশুরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। এসময় তাদের রক্ষা করতে গিয়ে জাতীয় বিপ্লবী পরিষদের যুগ্ম-আহ্বায়ক ও জুলাইয়ে রাজধানী উত্তরায় আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারী রাবেয়া আক্তারও হামলার শিকার হন।

হামলাকারীদের প্রতিহত ও ফারুক হাসানকে রক্ষা করতে গিয়ে জাতীয় বিপ্লবী পরিষদের যুগ্ম-আহ্বায়ক সাইয়েদ কুতুব, বিপ্লবী ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় সহকারী সদস্য সচিব আশরাফুল ইসলাম, এস.এম রাফসানজানি, বাংলাদেশ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক মো. আরিফুল ইসলাম সাকিব, সলিমুল্লাহ ও হিযবুল্লাহ আহত হন।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, সমাবেশে গণঅধিকার পরিষদ নেতা ফারুক হাসান ও বিপ্লবী পরিষদের নেতাকর্মীদের ওপর হামলার ঘটনা বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে সরাসরি সম্প্রচারিত হয়েছে। এতে হামলাকারীদের চেহারা স্পষ্টভাবে দেখা যাচ্ছে।

জাতীয় বিপ্লবী পরিষদের নেতৃবৃন্দ জানান, হামলাকারীদের পরিচয় জানতে তারা অনুসন্ধান শুরু করেছেন। এখন পর্যন্ত শরীফ ও হিল্লাল নামে দুজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা রাজধানীর শ্যামলী থেকে সমাবেশস্থলে এসেছিল বলে জানা গেছে।

শহীদ পরিবারের সদস্য ও নাগরিক সমাবেশের বিষয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের কাছ থেকে বিধি মোতাবেক অনুমতি নেওয়া হয়েছিল এবং নিরাপত্তার আবেদনও জানানো হয়েছিল। কিন্তু হামলার সময় শহীদ মিনারে পুলিশ উপস্থিত থাকলেও তারা এগিয়ে আসেনি বলে নেতৃবৃন্দ অভিযোগ করেন।

গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খানের বক্তব্যের সমালোচনা করে জাতীয় বিপ্লবী পরিষদের নেতৃবৃন্দ বলেন, যেখানে ভিডিও দেখে পুলিশ সহজেই হামলাকারী ও আক্রান্তদের পরিচয় ও রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা বের করতে পারবে, সেখানে তিনি জাতীয় বিপ্লবী পরিষদের বিরুদ্ধে ভুল বক্তব্য দিয়েছেন। জাতীয় বিপ্লবী পরিষদ ও গণঅধিকার পরিষদ একই সঙ্গে আক্রান্ত হওয়ায় উভয় সংগঠন মিলে হামলাকারীদের গ্রেপ্তার দাবিতে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।