সেনাবাহিনীতে বিদেশি যোদ্ধাদের নিয়োগ দিচ্ছে সিরিয়ার নতুন সরকার

সিরিয়ার নতুন শাসকগোষ্ঠী দেশটির সেনাবাহিনীতে বেশ কয়েকজন বিদেশি ইসলামপন্থী যোদ্ধাকে গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োগ দিয়েছে। নিয়োগপ্রাপ্তদের মধ্যে উইগুর, জর্ডানিয়ান এবং তুর্কি যোদ্ধা রয়েছেন। এই পদক্ষেপ বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর নেটওয়ার্ককে একটি পেশাদার সামরিক বাহিনীতে রূপান্তরের প্রচেষ্টার অংশ বলে জানা গেছে। খবর আরব নিউজের।

সিরিয়ার সদ্য গঠিত সেনাবাহিনীর কয়েকজন সদস্য

গত রোববার সিরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ঘোষিত ৫০টি সামরিক পদের মধ্যে অন্তত ছয়জন বিদেশিকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে তিনজনকে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এবং তিনজনকে কর্নেল পদ দেওয়া হয়েছে।

নব-নিযুক্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেলদের মধ্যে রয়েছেন চীনা উইগুর যোদ্ধা আবদুলআজিজ দাউদ খুদাবেরদি (জাহিদ) যিনি তুর্কিস্তান ইসলামিক পার্টির (টিআইপি) প্রধান, তুরস্কের ওমর মোহাম্মদ জাফতাশি এবং জর্ডানের আবদুল রহমান হুসেইন আল-খতিব। কর্নেল পদে উন্নীতদের মধ্যে রয়েছেন উইগুর যোদ্ধা মাওলানা টারসউন আবদুসসামাদ ও আবদুলসালাম ইয়াসিন আহমাদ এবং আলবেনিয়ান যোদ্ধা আবদুল জাশারি (আবু কাতাদা আল-আলবানি)।

ক্ষমতাসীন গোষ্ঠী হায়াত তাহরির আল-শামের (এইচটিএস) একটি সূত্র জানিয়েছে, আসাদ সরকার পতনের আন্দোলনে বিদেশি যোদ্ধাদের অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ এই নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তবে এই পদক্ষেপ দেশে-বিদেশে উদ্বেগ সৃষ্টি করতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

এইচটিএস নেতা আহমেদ আল-শারা বলেছেন, নতুন সিরিয়া গোষ্ঠী ও মিলিশিয়ার মানসিকতা দ্বারা পরিচালিত হবে না। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, তার এই বক্তব্যের মাধ্যমে তিনি বিদেশি যোদ্ধা ও তাদের পরিবারকে সিরিয়ার নাগরিকত্ব প্রদানের ইঙ্গিত দিয়েছেন।

২০১১ সালে সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধ শুরু হলে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হাজার হাজার সুন্নি মুসলিম যোদ্ধা আসাদ সরকারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে যোগ দেয়। এই যোদ্ধাদের অনেকেই বিভিন্ন সশস্ত্র গোষ্ঠী গঠন করে অথবা দায়েশের মতো অন্যান্য গোষ্ঠীর অধীনে যুক্ত হয়।