প্রচণ্ড ঠাণ্ডায় মারা যাচ্ছে গাজার শিশুরা, ইসরায়েলি বোমায় নিহত আরও ৫০

ইসরায়েলি বোমা হামলায় প্রতিনিয়ত প্রাণ যাচ্ছে গাজার বাসিন্দাদের। সঙ্গে যুক্ত হয়েছে শীত। প্রচণ্ড ঠাণ্ডায় মারা যাচ্ছে উদ্বাস্তু শিশুরা। এদিকে সানা এয়ারপোর্টেও বোমা হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। তাতে অল্পের জন্য প্রাণে রক্ষা পেয়েছেন ডব্লিউএইচও প্রধান। খবর আল জাজিরার।

প্রচণ্ড শীতে কাঁপতে কাঁপতেই খাবারের খোঁজে ছুটছে নুসেইরাত ক্যাম্পের এক শিশু

গাজার উত্তরাঞ্চলীয় বেইত লাহিয়া শরণার্থী শিবিরের অভ্যন্তরে অবস্থিত কামাল আদওয়ান হাসপাতালে বৃহস্পতিবার রাতে তুমুল বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল।

কামাল আদওয়ান হাসপাতালের পরিচালক বলেছেন, হাসপাতালের একটি ভবনে ইসরায়েলি বিমান হামলায় পাঁচজন স্বাস্থ্যকর্মীসহ প্রায় ৫০ জন নিহত হয়েছেন।

এর আগে বৃহস্পতিবার ভোরে মধ্যাঞ্চলীয় আল নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরে অবস্থিত একটি হাসপাতালের গেটে বোমা হামলায় একসঙ্গে ৫ সাংবাদিক নিহত হন। সংবাদ সংগ্রহের সময় তাদের ব্রডকাস্টিং ভ্যানে বোমা হামলা চালায় ইসরায়েল।

ফিলিস্তিনি বার্তা সংস্থা ওয়াফা জানিয়েছে, গাজা সিটির একটি বাড়িতেও রাতভর হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এতে অন্তত নয়জন নিহত হয়েছে।

এদিকে শীতের প্রচণ্ড ঠাণ্ডায় জমে গিয়ে গাজার আরো এক শিশু মারা গেছে। এতে গত ৭২ঘন্টার মধ্যে গাজায় প্রচন্ড ঠান্ডার কারণে চতুর্থ ফিলিস্তিনি শিশুর মৃত্যু হলো।

ওয়াফার প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরায়েলের হামলায় ঘরবাড়ি হারিয়ে বাস্তুচ্যুত হওয়া হাজার হাজার মানুষ তাঁবু টানিয়ে রাত কাটাচ্ছে। সেখানে শীতের রাতে উষ্ণ থাকার জন্য কোনো ব্যবস্থা নেই।

অন্যদিকে ইয়েমেনের সানা বিমানবন্দরে বোমা হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। ঠিক তখন জাতিসংঘের বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) প্রধান টেদ্রোস আদহানম গ্রেব্রেয়াসুস সানা বিমানবন্দরে ছিলেন। তিনি অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে গেলেও ইসরায়েলের হামলায় কমপক্ষে ছয়জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

গাজায় ইসরায়েলের অব্যাহত হামলায় ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে চলতি ডিসেম্বরের ২৬ তারিখ বৃহস্পতিবার পর্যন্ত কমপক্ষে ৪৫ হাজার ৩৯৯ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। আহত হয়েছেন আরও ১ লাখ ৭ হাজার ৯৪০ ফিলিস্তিনি।