মাউথওয়াশের ব্যবহার

মুখে ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ হলে মুখে দুর্গন্ধ তৈরি হতে পারে। এই দুর্গন্ধ নিরাময়ে শুরু থেকেই ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ হলে দুর্গন্ধ ছাড়াও আরও নানা সমস্যা হতে পারে। এই সবকিছুর প্রতিকারে মাউথওয়াশ একটি কার্যকর ওষুধ।

মাউথওয়াশ ব্যবহারের কিছু নির্দিষ্ট নিয়ম আছে। জেনে নিন সেই নিয়মগুলো।

যখন মাউথওয়াশ ব্যবহার করবেন তার আগে দাঁত ব্রাশ করে নিন। সম্ভব হলে ডেন্টাল ফ্লসিংও করে নিতে পারেন। সাধারণত দুই চামচ পানির সাথে সমপরিমাণ মাউথওয়াশ মিশিয়ে নিয়ে ব্যবহার করতে হয়। এছাড়া আপনার চিকিৎসক যেভাবে ব্যবহার করতে বলবেন সেভাবেই করা উচিত।

মাউথওয়াশ মিশ্রিত পানি ৩০ থেকে ৪০ সেকেন্ড মুখের ভেতর রেখে কুলকুচি করে নিতে হবে। যদি ফ্লোরাইডযুক্ত মাউথওয়াশ হয় তাহলে মুখের ভেতর এক মিনিটও রাখা যেতে পারে।

মাউথওয়াশ ব্যবহারের পর অন্তত এক ঘণ্টা কোনো কিছু মুখে দেয়া উচিত নয়। ধুমপান তো নয়ই। এর অন্যথা হলে মাউথওয়াশের কার্যকারিতা অনেকটাই নষ্ট হয়ে যায়।

যথাযথভাবে মাউথওয়াশ ব্যবহার না করলে কিছু সমস্যা দেখা দিতে পারে। তখন ভয় না পেয়ে দ্রুত ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করুন।

মাউথওয়াশ নিয়ম মতো ব্যবহার না করলে মুখের স্বাদ পরিবর্তন হয়ে যেতে পারে। ফলে কোনো কিছু মুখে দিলে তা আর ভালো লাগে না। এই অবস্থা তিন-চার ঘণ্টা থেকে শুরু করে এক সপ্তাহের জন্যও হতে পারে।

তাছাড়া মাউথওয়াশের ভুল ব্যবহারে দাঁতে দাগ পড়তে পারে। পরবর্তীতে এই দাগ তোলা আপনার জন্য আরেক ঝামেলা হয়ে দাঁড়াবে।

মাউথওয়াশ ব্যবহারে মুখের ভেতরে শুকনো ভাব তৈরি হতে পারে। তখন বেশি বেশি পানি খেয়ে এই সমস্যার সমাধান করতে পারেন।

প্রয়োজন ছাড়া মাউথওয়াশ বেশি বেশি ব্যবহার করলে মুখের ভেতরে ঘা হতে পারে। তাই বেশি বেশি মাউথওয়াশ ব্যবহার কখনোই নয়।

আপনি আরও পড়তে পারেন

মাত্র ১ মিনিটেই ঘুমাবে বাবু

মাত্র ১১ মিনিটে ইবোলা নির্ণয়

নিতে হবে চোখের যত্ন