২১ হাজার কোটি টাকা! শেখ হাসিনার মেগা দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তে দুদক

দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে পদ্মা সেতু দুর্নীতি ও ষড়যন্ত্র মামলা এবং বঙ্গবন্ধু নভো থিয়েটার দুর্নীতি মামলা পুনরায় তদন্তের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আজ মঙ্গলবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদকের মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) আখতার হোসেন শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি তদন্তের অগ্রগতি সম্পর্কে সাংবাদিকদের অবহিত করেন।

শেখ হাসিনা

দুদকের তদন্ত দল জানিয়েছে, শেখ হাসিনার আটটি মেগা প্রকল্পে ২১ হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ তদন্তে তথ্য চেয়ে প্রধান উপদেষ্টার সচিব বরাবর চিঠি পাঠানো হয়েছে।

দুদকের মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) বলেন, ‘একটি তদন্ত দল গঠন করা হয়েছে। তদন্ত দলের সদস্যরা তথ্য-প্রমাণ সংগ্রহের জন্য বিভিন্ন দপ্তরে চিঠি লিখছেন।’

তিনি বলেন, এটি তাদের তদন্তের অংশ। তথ্য পাওয়ার পর দলের সদস্যরা তা পর্যালোচনা করবেন। এর পাশাপাশি অভিযোগ প্রমাণের স্বপক্ষে সমর্থনকারী নথিপত্র এবং অভিযোগে জড়িত ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।

এদিকে, দুদক প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, তার বোন শেখ রেহানা এবং রেহানার মেয়ে ও ব্রিটিশ মন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিকের দেশি-বিদেশি লেনদেনের সকল নথিপত্র তলব করার জন্য বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটকে (বিএফআইইউ) চিঠি দিয়েছে।

আজ দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে পাঠানো চিঠিতে তদন্ত দল সন্দেহভাজনদের নামে পরিচালিত অফশোর ব্যাংক বিবরণীসহ সকল অ্যাকাউন্টের বিস্তারিত তথ্য চেয়েছে।

এছাড়া, তদন্ত দল প্রথম পর্যায়ে অভিযোগে জড়িত ব্যক্তিদের ব্যক্তিগত নথিপত্র তলব করেছে এবং নির্বাচন কমিশন, ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অফিস থেকে নথিপত্র তলব করেছে।

শীঘ্রই আরও কিছু সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে নথিপত্র তলব করে চিঠি পাঠানো হবে।

এর আগে, ১৮ ডিসেম্বর শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তের জন্য দুদক পাঁচ সদস্যের একটি দল গঠন করে।

শেখ হাসিনা, তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ, বোন শেখ রেহানা এবং রেহানার মেয়ে টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে দুর্নীতি তদন্তকারী দলের নেতৃত্বে রয়েছেন দুদকের উপ-পরিচালক মো. সালাউদ্দিন, দলের অন্য সদস্যরা হলেন উপ-পরিচালক মো. সাইদুজ্জামান, সহকারী পরিচালক আফনান জান্নাত কেয়া, এস.এম. রাশেদুল হাসান এবং এ কে এম মোর্তুজা আলী সাগর।

এই দুদক দল পূর্ববর্তী আওয়ামী লীগ সরকারের আটটি বিশেষ অগ্রাধিকার প্রকল্পে ২১ হাজার কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগ তদন্ত করছে। এছাড়া রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্পে ৫৯ হাজার কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগও তদন্ত করবে।