আল-শারার ‘মাথার দাম’ ১০ মিলিয়ন ডলার বাতিল করছে যুক্তরাষ্ট্র

সিরিয়ায় বিদ্রোহী গোষ্ঠী এইচটিএসের নেতা আহমেদ আল-শারাকে ধরতে কয়েক বছর আগেই ১০ মিলিয়ন ডলার পুরস্কার ঘোষণা করেছিল যুক্তরাষ্ট্র। তবে এখন পরিস্থিতি ভিন্ন! প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদকে হটিয়ে ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দুতে আসা আল-শারার সঙ্গেই বৈঠকে বসতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। আর তার আগে ঘোষিত ‘মাথার দাম’ বাতিল করতে যাচ্ছে দেশটি। খবর আল জাজিরার।

এইচটিএস প্রধান আবু মোহাম্মদ আল-জুলানি ওরফে আল-শারা

সিরিয়ার বিদ্রোহী গোষ্ঠী হায়াত তাহরির আল-শাম (এইচটিএস) গ্রুপের নেতৃত্বে বিদ্রোহীদের ঝটিকা অভিযানের মুখে চলতি মাসের শুরুতে ক্ষমতা ছেড়ে মস্কোতে গিয়ে আশ্রয় নেন বাশার আল-আসাদ।

আসাদ পরবর্তী সিরিয়ায় রাজনৈতিক ও প্রশাসনের কেন্দ্রবিন্দুতে এখন এইচটিএস প্রধান আহমেদ আল-শারা। আসাদহীন সিরিয়ার নতুন প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনার জন্য শুক্রবার প্রথম রাজধানী দামেস্ক পরিদর্শন করেন মার্কিন কর্মকর্তারা।

দামেস্ক সফরেরর পর যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিয়ার ইস্টার্ন অ্যাফেয়ার্সের সহকারী পররাষ্ট্র সচিব বারবারা লিফ জানান, এইচটিএস নেতা আহমেদ আল-শারার সঙ্গে আলোচনার জন্য যুক্তরাষ্ট্র ‘ইতিবাচক বার্তা’ পেয়েছে।

বারবারা লিফ আরও জানান, সিরিয়ার নতুন নেতা আহমেদ আল-শারাকে গ্রেপ্তারের জন্য পূর্বঘোষিত ১০ মিলিয়ন পুরস্কার বাদ দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।

হায়াত তাহরির আল-শাম (এইচটিএস) ও গ্রুপটির প্রধান আবু মোহাম্মদ আল-জুলানি ওরফে আল-শারা একসময় আল-কায়েদার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। আর সেজন্যই এইচটিএসকে ২০১৮ সালে ‘সন্ত্রাসী’ সংগঠন হিসেবে তালিকাভুক্ত করে যুক্তরাষ্ট্র। আল শারার মাথার দাম ঘোষণা করে ১০ মিলিয়ন ডলার।

লিফ বলেন, শুক্রবারের আলোচনার সময় ইতিবাচক বার্তা পাওয়ার পরই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আল-শারার জন্য পুরস্কার প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

লিফ আরও বলেন, আমরা সিরিয়ানদের নেতৃত্বাধীন একটি রাজনৈতিক প্রক্রিয়াকে সম্পূর্ণরূপে সমর্থন করি। সিরিয়ায় একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক ও প্রতিনিধিত্বমূলক সরকার গঠিত হবে, যাতে নারীসহ সমস্ত সিরিয়ান এবং সিরিয়ার বিভিন্ন জাতিগত ও ধর্মীয় সম্প্রদায়ের অধিকার সমুন্নত থাকবে।