ট্রাম্প সৌদি-ইসরায়েল সম্পর্ক স্বাভাবিক করবেন, ব্লিঙ্কেনের আশা

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন আশা করেছেন যে নব নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সৌদি আরব এবং ইসরায়েলের মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার জন্য কাজ শুরু করবেন। তিনি স্বীকার করেছেন, জো বাইডেনের প্রশাসনের অধীনে এই ঐতিহাসিক চুক্তি আর সম্ভব হবে না।

অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন

১৯ ডিসেম্বর মার্কিন নিউজ চ্যানেল এমএসএনবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এই আশাবাদ ব্যক্ত করেন ব্লিঙ্কেন। তিনি বলেছেন, আমরা দীর্ঘদিন ধরেই সৌদি আরব এবং ইসরায়েলের মধ্যে একটি চুক্তি করার জন্য কাজ করে যাচ্ছি। এই চুক্তির শর্ত কী হওয়া উচিত কিংবা আমরা এবং সৌদি আরব এক সঙ্গে কী করব, তারা ইসরায়েলের সঙ্গে কী করবে এই সংক্রান্ত আলোচনা এখনও অব্যাহত আছে।       

তিনি হতাশা প্রকাশ করে বলেন, এই চুক্তি নিয়ে আমরা যতদূর সম্ভব যাওয়ার চেষ্টা করব। তবে এটি সম্পূর্ণ করতে পারব না। তবে আমরা এই চুক্তির খসড়া পরবর্তী প্রশাসনের কাছে হস্তান্তর করব। এটি কীভাবে এগিয়ে নিতে হবে সে বিষয়ে তারা সিদ্ধান্ত নেবে।  

২০২০ সালের আব্রাহাম অ্যাকর্ড চুক্তির জন্য ট্রাম্পের প্রশংসা করেছেন ব্লিঙ্কেন। এই চুক্তির মাধ্যমে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করেছিল সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন, মরক্কো এবং সুদান। ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় এই চুক্তি সম্পন্ন হয়। 

ব্লিঙ্কেন বলেছেন, আমি আশাবাদী সৌদিদের সঙ্গে ইসরায়েলের এ ধরনের চুক্তির এখনও সুযোগ আছে। আমি জানি এটি এমন কিছু যা প্রেসিডেন্ট (ট্রাম্প) ফোকাস করবেন।

ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু দীর্ঘদিন ধরে সৌদি আরবের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার একটি চুক্তি করতে চাচ্ছেন। তিনি আশা করছেন, এর মাধ্যমে মুসলিম বিশ্বে ইসরায়েলের গ্রহণযোগ্যতা বেড়ে যাবে।  

গত বছরের অক্টোবরে শুরু হওয়া গাজা যুদ্ধের আগেও সৌদি-ইসরায়েল চুক্তি নিয়ে আনেকেই আশাবাদী ছিলেন। তবে গাজা উপত্যকায় হামলা করে এই সম্ভাবনা বিনষ্ট করেন নেতানিয়াহু।      

এদিকে ব্লিঙ্কেন সাম্প্রতিক মাসগুলোতে বলেছেন, ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে রাজি হলে সৌদি আরবকে বিশেষ কিছু সুবিধা দেওয়ার বিষয়ে আলোচনা করছে বাইডেন প্রশাসন। এক্ষেত্রে মধ্যপ্রাচ্যের এই দেশটিকে নিরাপত্তার গ্যারান্টি দেওয়ার বিষয়টিও রয়েছে।  

তবে একটি স্বাধীন এবং সার্বভৌম ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেওয়ার কথা অস্বীকার করেছেন সৌদি যুবরাজ মুহাম্মদ বিন সালমান। 

সূত্র: দ্য নিউ আরব