ইউক্রেনের ড্রোন হামলায় রুশ জ্বালানি ডিপোতে আগুন

রাশিয়ার কেন্দ্রীয় ওরিয়োল অঞ্চলে একটি জ্বালানি মজুদকেন্দ্রে ইউক্রেনীয় ড্রোন হামলা চালিয়েছে। এতে স্থাপনাটিতে আগুন ধরে যায়। স্থানীয় কর্মকর্তারা শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) সকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

জ¦লছে রাশিয়ার একটি জ্বালানি মজুদকেন্দ্র

ওরিয়োলের গভর্নর আন্দ্রে ক্লিচকভ এই ‘বৃহৎ আক্রমণের’ সত্যতা স্বীকার করে জানান, নামিয়ে আনা ড্রোনের ধ্বংসাবশেষ আশেপাশের কিছু বাড়িঘরেও ক্ষতিসাধন করেছে।

ইউক্রেনীয় সামরিক সূত্রগুলো হামলার পর জ্বালানি স্থাপনায় ব্যাপক অগ্নিকাণ্ডের ভিডিও প্রকাশ করেছে।

ওরিয়োল ছাড়াও ক্রাসনোদার, ব্রিয়ানস্ক এবং বেলগোরোদ অঞ্চলেও ড্রোন হামলার খবর পাওয়া গেছে, যদিও বিস্তারিত জানা যায়নি।

এদিকে, ইউক্রেন স্বীকার করেছে পূর্ব ইউক্রেনে রুশ বাহিনীর চাপ বৃদ্ধি পেয়েছে। ইউক্রেনীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, রুশ সেনারা কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ দোনেৎস্ক অঞ্চলের পক্রোভস্ক শহরের মাত্র ৫ কিলোমিটারের মধ্যে অবস্থান নিয়েছে।

এর আগে রাশিয়া ইউক্রেনের জ্বালানি অবকাঠামোতে বড় ধরনের হামলা চালিয়েছিল। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এই হামলাকে "সন্ত্রাসবাদ" বলে অভিহিত করেছেন। তিনি দাবি করেছেন, রাশিয়া ৯৩টি ক্ষেপণাস্ত্র এবং প্রায় ২০০টি ড্রোন ব্যবহার করে ইউক্রেনের বিদ্যুৎ গ্রিডে একটি বৃহৎ হামলা চালিয়েছে, যার মধ্যে অন্তত একটি উত্তর কোরীয় ক্ষেপণাস্ত্র ছিল।

জেলেনস্কি বলেছেন, ইউক্রেনের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ৮১টি ক্ষেপণাস্ত্র ভূপাতিত করেছে, যার মধ্যে ১১টি ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র এফ-১৬ যুদ্ধবিমান দিয়ে ধ্বংস করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেছেন, পুতিনের শান্তি পরিকল্পনা মানে সবকিছু ধ্বংস করা। জেলেনস্কি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে কঠোর প্রতিক্রিয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।

রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, আগের সপ্তাহে রুশ বিমানঘাঁটিতে হামলার প্রতিশোধ হিসেবে ইউক্রেনের জ্বালানি ও বিদ্যুৎ স্থাপনায় হামলা চালানো হয়েছে।