বিসিএল জিতলো ইস্ট জোন

বাংলাদেশ ক্রিকেটের লিগের (বিসিএল) প্রথম ওয়ানডে সংস্করণের শিরোপা জিতেছে ইসলামী ব্যাংক ইস্ট জোন। রোববার মিরপুরে তিন উইকেটে বিসিবি নর্থজোনকে হারিয়েছে ইসলামী ব্যাংক ইস্ট জোন।

ম্যাচের শেষ দিকে সম্ভাবনা বেশি ছিলো বিসিবি নর্থজোনের। ম্যাচটি জিততে যাচ্ছিলো তারাই। কিন্তু ক্রমেই অলরাউন্ডার হয়ে উঠা আবুল হাসান রাজুর দৃঢ়তাপূর্ণ ব্যাটিংয়ে কাছে হারতে হয় নর্থজোনকে। ৩৫ বলে ৩৯ রান করে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন রাজু। এর আগের ম্যাচেও হাফ সেঞ্চুরি করেছিলেন তিনি। রাজুর ব্যাটিং প্রতিভার প্রমাণ ছিলো আগেই। তবে তিনি আলোচনায় আসেন অভিষেক টেস্টে দশ নম্বরে নেমে সেঞ্চুরি করে।

পাকিস্তানের বিপক্ষে আসন্ন সিরিজে ব্যাটিং দক্ষতার কারণেই তাকে দলে রেখেছেন নির্বাচকরা। তারা যে ভুল করেননি ব্যাট হাতে তারই যেনো প্রমাণ রাখছেন আবুল হাসান। ম্যাচে আগে ব্যাটিং করে মাহমুদুল হাসানের সেঞ্চুরি এবং নাসির হোসনের অনবদ্য ৯৬ রানে ভর করে ২৯১ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়ে নর্থজোন।

৫০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে এ রান করে তারা। সর্বোচ্চ ১০৭ রান আসে মাহমুদুল হাসানের ব্যাট থেকে। ১৩২ বলে এ রান করেন মাহমুদুল। সেঞ্চুরি করার পথে ১১টি চার মারেন তিনি। স্বীকৃত ওয়ানডে ক্রিকেটে এটিই তার প্রথম সেঞ্চুরি। এর আগে তার সর্বোচ্চ ইনিংসটি ছিলো ৮২ রানের। এ ছাড়া ৯৬ রান করেন নাসির। দলের হয়ে তৃতীয় সর্বোচ্চ রান আসে মুশফিকের ব্যাট থেকে। তিনি করেন ৩১ রান। ইস্ট জোনের হয়ে দুটি করে উইকেট নেন আরাফাত সানি ও আসিফ আহমেদ।

২৯২ রানের লক্ষ্য সামনে রেখে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা দারুণ করে নর্থজোন। দলীয় মাত্র পাঁচ রানে তামিম ইকবাল আউট হয়ে গেলেও দ্বিতীয় উইকেটে ১০২ রানের জুটি গড়ে পরিস্থিতি দারুণভাবে সামাল দেন মুমিনুল হক ও লিটন কুমার।

১০৭ রানে গিয়ে ভাঙে দ্বিতীয় উইকেট জুটি। ৫০ রান করে বিদায় নেন লিটন। দলীয় ১৩১ রানে বৃষ্টির বাঁধায় পড়ে ম্যাচ। বেশ কিছুক্ষণ সময় বন্ধ থাকে খেলা। পরে বৃষ্টি আইনে পূর্বাঞ্চলের লক্ষ্য দাঁড়ায় ৪৬ ওভারে ২৭৮ রান। বৃষ্টির পর ব্যাটিংয়ে নেমে কিছুটা এলেমেলো হয়ে যায় নর্থজোন। ১৯৬ রানের মধ্যে আরো চারটি উইকেট হারিয়ে বসে তারা। রান আউটের ফাঁদে পড়ে বিদায় নেন মুমিনুল হক।

বিশ্বকাপে ব্যাট হাতে ব্যর্থ ছিলেন তিনি। বিসিএলেও হাসছিলো না তার ব্যাট। কিন্তু গতকাল জ্বলে উঠেছিলেন মুমিনুল। তার ব্যাট থেকে আসে ৭৮ রান। কিন্তু দলকে নিরাপদ জায়গায় নেওয়ার আগেই বিদায় নেন তিনি। মুমিনুলকে রান আউট করেন সাব্বির। পরে সপ্তম উইকেটে ৫৫ রান যোগ করে দলকে জয়ের খুব কাছে নিয়ে যান আসিফ আহমেদ ও আবুল হাসান রাজু। আসিফ আউট হয়ে গেলেও দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন রাজু। ৩৫ বলে ৩৯ রান করে অপরাজিত থাকেন তিনি।

আপনি আরো পড়তে পারেন

রাজস্থানের নাটকীয় জয়

নিজেদের ফেভারিট ভাবছেন রিয়াদ

হোম সিরিজের টিকিট শুধু ইউসিবিতেই