ইরানের পরমাণু স্থাপনায় হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসরায়েল!

মধ্যপ্রাচ্যে ইরানের প্রভাব দুর্বল হওয়া এবং সিরিয়ায় আসাদ সরকারের সম্ভাব্য পতনের আভাসে ইসরায়েল ইরানের পরমাণু স্থাপনায় হামলার পরিকল্পনা করছে! ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) এবং বিমান বাহিনী (আইএএফ) এই হামলার প্রস্তুতি ও সক্ষমতা বৃদ্ধি করছে বলে ইসরায়েলি সামরিক কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

ইরানের একটি পরমাণু প্রকল্প

আইডিএফ-এর দাবি, আসাদ সরকারের পতন এবং হিজবুল্লাহর দুর্বলতার সুযোগে ইরান তার পরমাণু কর্মসূচি এগিয়ে নিয়ে পরমাণু বোমা তৈরির চেষ্টা করতে পারে। ইরান সবসময়ই তাদের পরমাণু কর্মসূচিকে শান্তিপূর্ণ বলে দাবি করে আসলেও মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা এবং আইএইএ-এর মতে, ইরান ২০০৩ সাল পর্যন্ত একটি সামরিক পরমাণু কর্মসূচি পরিচালনা করছিল এবং বেসরকারি কর্মসূচির আড়ালে এটি গোপনে চালিয়ে যাচ্ছে।

ইসরায়েলের দাবি, ইরান কখনোই তাদের পরমাণু অস্ত্র কর্মসূচি সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করেনি এবং তাদের পরমাণু স্থাপনাগুলো পাহাড়ের নিচে অবস্থিত।

সিরিয়ায় এক দশক ধরে ইরানের অস্ত্র সরবরাহ লাইন ভাঙার অভিযান চালিয়ে আইএএফ সিরিয়ার বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এড়াতে বাধ্য হয়েছে। তবে এখন তারা সিরিয়ার আকাশসীমায় নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করেছে, যা ইরানে হামলার পথ সুগম করবে।

আইডিএফ-এর তথ্যমতে, সাম্প্রতিক হামলায় আসাদের ৮৬% বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস হয়েছে, যার মধ্যে ১০৭টি প্রতিরক্ষা স্থাপনা এবং ৪৭টি রাডার রয়েছে।

আইডিএফ আশঙ্কা করছে, আসাদের পতনের পর সিরিয়ার উন্নত অস্ত্র হিজবুল্লাহর হাতে পড়তে পারে। সাম্প্রতিক হামলায় ইরান-নেতৃত্বাধীন জোটের অস্ত্র উৎপাদন ক্ষমতায় ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। তবে হিজবুল্লাহ অবশিষ্ট অস্ত্র সংগ্রহ করার চেষ্টা করতে পারে, এই আশঙ্কায় ইসরায়েল সিরিয়া-লেবানন সীমান্তের অধিকাংশ ক্রসিং ধ্বংস করেছে।