সেনাকুঞ্জে ইউনূস-খালেদার শুভেচ্ছা বিনিময়

বৃহস্পতিবার সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস এবং বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া একে অপরের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন।

খালেদা জিয়া ও ড. মুহাম্মদ ইউনূস

সেনাকুঞ্জে পৌঁছানোর পর খালেদা জিয়াকে ইউনূসের পাশে বসানো হয় এবং তারা কিছুক্ষণ কথা বলেন। দুজনকেই হাসিমুখে একে অপরকে শুভেচ্ছা জানাতে দেখা যায়।

৭৯ বছর বয়সী সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী তার প্রয়াত পুত্র আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে গুলশানের বাসভবন থেকে বের হয়ে সাড়ে ৩টার দিকে অভ্যর্থনা স্থলে পৌঁছান।

২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে কারাবন্দী হওয়ার পর ছয় বছরের মধ্যে এটিই তার প্রথম কোনো রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ। তিনি সর্বশেষ ২০১২ সালে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

এদিন খালেদা জিয়া ১২ বছর পর সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত হন। তিনি সর্বশেষ ২০১২ সালে এই অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছিলেন।

অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, গণতন্ত্র এবং দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় জীবন উৎসর্গকারী খালেদা জিয়াকে ১২ বছর ধরে দেশপ্রেমিক সশস্ত্র বাহিনী থেকে দূরে রাখা হয়েছিল।

তিনি প্রধান উপদেষ্টা এবং তিন বাহিনীর প্রধানসহ সশস্ত্র বাহিনীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, সশস্ত্র বাহিনী দিবসে খালেদা জিয়াকে সম্মান জানানোর জন্য 'সমগ্র জাতি আনন্দিত এবং ম্যাডামকে (খালেদা) সম্মান জানানোর জন্য আমরা কৃতজ্ঞ।'

এর আগে মঙ্গলবার রাতে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে সেনাকুঞ্জে অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানে যোগদানের জন্য আমন্ত্রণ জানায়।

সেনাবাহিনীর চিফ অব জেনারেল স্টাফ (সিজিএস) লেফটেন্যান্ট জেনারেল মিজানুর রহমান শামীম এবং প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার (পিএসও) লেফটেন্যান্ট জেনারেল এএসএম কামরুল আহসান খালেদা জিয়ার হাতে আমন্ত্রণপত্র তুলে দেন।

ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং অন্যান্য জ্যেষ্ঠ নেতাসহ বিএনপির আরও ২৬ জন নেতাকেও অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানে যোগদানের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়।

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস সেনাকুঞ্জে অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী এবং বিমান বাহিনীর প্রতিষ্ঠার স্মরণে বৃহস্পতিবার উৎসব ও উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে সশস্ত্র বাহিনী দিবস উদযাপিত হয়।