সাবেক আইজিপি মামুনসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত এক মাসে শেষ করার নির্দেশ

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল (আইসিটি) সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলায় এক মাসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছে।

আদালত প্রাঙ্গণে সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন এবং জাতীয় টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারের (এনটিএমসি) সাবেক মহাপরিচালক (অব.) মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসান..

জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত হত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে এই মামলাগুলি দায়ের করা হয়েছে। আসামিদের মধ্যে রয়েছেন জাতীয় টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্রের (এনটিএমসি) সাবেক মহাপরিচালক অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসান।

বিচারপতি মো. গোলাম মোর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল এই আদেশ দিয়েছে বলে জানিয়েছেন ট্রাইব্যুনালের মুখ্য প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট মো. তাজুল ইসলাম।

তিনি আরও জানান, তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল না হওয়া পর্যন্ত আট আসামিকে কারাগারে রাখার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

বুধবার সকালে আট আসামিকে জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানকালীন হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় আদালতে হাজির করা হয়। অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম জানান, মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর পর তাদেরকে আদালতে আনা হয়। বর্তমানে অন্যান্য মামলায় তারা সবাই কারাগারে আছেন।

অন্য আসামিরা হলেন— সাবেক যাত্রাবাড়ী থানার ওসি আবুল হাসান, ঢাকা পুলিশের সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আব্দুল্লাহ আল কাফি, সাবেক ডিসি (মিরপুর) মো. জসিম উদ্দিন মোল্লা, সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সাভার সার্কেল) মো. শহীদুল ইসলাম, গুলশান থানার সাবেক ওসি মো. মাজহারুল হক এবং গোয়েন্দা শাখার সাবেক পরিদর্শক মো. আরাফাত হোসেন।

গত ২৭ অক্টোবর আইসিটি ১৪ জন আসামিকে ১৮ নভেম্বর আদালতে হাজির করার নির্দেশ দিয়েছিল। পরবর্তীতে বাতিল হওয়া আওয়ামী লীগ সরকারের ৯ জন সাবেক মন্ত্রীসহ ১৩ জনকে আদালতে হাজির করা হয়। অসুস্থতার কারণে সাবেক কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাককে আদালতে আনা সম্ভব হয়নি।

এছাড়া আদালত সাবেক আইজিপি আব্দুল্লাহ আল মামুন, সাবেক সেনা কর্মকর্তা জিয়াউল আহসান এবং পূর্বে উল্লেখিত পুলিশ কর্মকর্তাদের ২০ নভেম্বর আদালতে হাজির করার নির্দেশ দিয়েছিল।

শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার বাতিল হওয়ার পর ৫ আগস্টের পর থেকে আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যা, নির্যাতন, অপহরণ ও হয়রানিসহ বিভিন্ন অভিযোগ আইসিটিতে দায়ের করা হয়েছে। সরকারি চাকরির দাবিতে শুরু হওয়া জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থান পূর্ণাঙ্গ সরকারবিরোধী আন্দোলনে রূপ নেয়, যার ফলে প্রায় ১,০০০ লোক নিহত এবং অনেকেই আহত হয় এবং শেখ হাসিনার ১৫ বছরের শাসনের অবসান ঘটে।