স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা: থানা হবে জনগণের আস্থার কেন্দ্র

দেশের থানাগুলোকে জনগণের আস্থার কেন্দ্রে পরিণত করতে হবে, এমন আহ্বান জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।

সভার ছবি

আজ মঙ্গলবার চট্টগ্রামের দামপাড়া পুলিশ লাইন্সে এক সভায় তিনি বলেন, নাগরিকরা যাতে কোনো ভয় ছাড়াই থানায় সাহায্য চাইতে পারেন, সেভাবে থানাগুলোকে গড়ে তুলতে হবে। পুলিশ সদস্যদের উচিত নাগরিকদের প্রতি ভদ্র আচরণ করা, যাতে পুলিশি কার্যক্রম আরও জনবান্ধব, দক্ষ ও সময়োপযোগী হয়।

ট্রাফিক জ্যাম ও অপরাধ নিয়ন্ত্রণে কমিউনিটি পুলিশিং জোরদার করার ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, ঢাকায় ৭০০ শিক্ষার্থীকে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার প্রশিক্ষণ দিয়ে মোতায়েন করা হয়েছে। ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে অভিজ্ঞ, নির্দিষ্ট বয়সসীমার মধ্যে সেনাবাহিনী, পুলিশ ও বিজিবির অবসরপ্রাপ্ত সদস্যদের নিয়োগের বিষয়টি বিবেচনাধীন।

বড় শহরগুলোতে ট্রাফিক জ্যাম কমাতে জনসমাগমের জন্য খোলা জায়গা নির্ধারণের পরামর্শ দেন তিনি। ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মতো চট্টগ্রাম ও অন্যান্য শহরেও একই ব্যবস্থা নেওয়া উচিত বলে মনে করেন তিনি। পূর্বানুমতি ছাড়া মহানগর এলাকায় কোনো জনসমাগম না করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।

অপরাধ বৃদ্ধির বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে তিনি বলেন, শীর্ষ স্তরের অপরাধীরা জামিনে বেরিয়ে আবারও অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে এ ধরনের ব্যক্তিদের পুনরায় গ্রেপ্তার ও কঠোর নজরদারিতে রাখার নির্দেশ দেন তিনি। সাইবার অপরাধ ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভুয়া তথ্য ছড়ানোর বিষয়ে সতর্কতা ও অপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

৫ আগস্টের পর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হলেও জনগণের প্রত্যাশা পূরণ হয়নি মন্তব্য করে পুলিশকে মূল দায়িত্ব পালনে মনোযোগী হতে এবং প্রোটোকল ডিউটি কমাতে নির্দেশ দেন উপদেষ্টা।

সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে গণমাধ্যমকে সত্য তথ্য প্রকাশের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশের গণমাধ্যম সত্যনিষ্ঠ। মিথ্যা প্রচারের বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে। সম্প্রতি পাকিস্তান থেকে আসা একটি জাহাজ নিয়ে তিনি বলেন, জাহাজটি প্রয়োজনীয় অনুমতি নিয়ে একটি মধ্যপ্রাচ্যের দেশ থেকে খেজুর ও পেঁয়াজ নিয়ে এসেছে। এ ধরনের চালান নিয়ে আপত্তি কেন? এসব বিষয়ে গুজব ছড়ানো জাতির প্রতি শত্রুতার কার্যক্রম।

সিএমপি কমিশনার হাসিব আজিজের সভাপতিত্বে সভায় পুলিশের মহাপরিদর্শক, র‌্যাবের মহাপরিচালক, চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার, চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসকসহ বেশ কয়েকজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।