সাংবাদিক শিমুল হত্যায় ব্যবহৃত শটগানটি ৩৩দিন পর উদ্ধার

সাংবাদিক আব্দুল হাকিম শিমুল হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত শটগানটি উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার সকালে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর পৌর মেয়র হালিমুল হক ‍মীরুর বাড়ির পাশের পুকুর থেকে ওই অবৈধ শটগানটি উদ্ধার করা হয়। মেয়র মিরু ও তার ভাইকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত তথ্যের সূত্র ধরে ৩৩দিন পর আজ ওই শটগানটি উদ্ধার করে পুলিশ।

মঙ্গলবার সকালে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর পৌর মেয়র হালিমুল হক ‍মীরুর বাড়ির পাশের পুকুর থেকে এই অবৈধ শটগানটি উদ্ধার করা হয়। ছবিটি সংগৃহীত

শাহজাদপুর থানা পুলিশের ভারপ্রপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মনিরুল ইসলাম বলেন, 'আদালতের নির্দেশে দুই দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় মেয়র মীরু ও তার ভাই হাসিবুল হক মিন্টুকে। জিজ্ঞাসাবাদে গত সোমবার (৬ মার্চ) শিমুল হত্যায় ব্যবহৃত অস্ত্রের কথা স্বীকার করে মিন্টু। তারা জানায় ঘটনার পর শটগানটি তারা মিরুর বাড়ির পাশের পুকুরে পেলে দেয়। আমরা তার কথার সূত্র ধরে শটগানটি উদ্ধার করতে সক্ষম হই।'

উল্লেখ্য, গত মাসের ২ তারিখে স্থানীয় ছাত্রলীগ নেতা বিজয় মাহমুদকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে মেয়র মিরুর বাড়িতে বসে বিজয়কে ব্যাপক মারধর করা হয় এবং তার হাত-পা ভেঙ্গে দেয়া হয়। শহরে এ খবর ছড়িয়ে পড়লে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা এবং বিজয়ের পরিবারের লোকজন মেয়রের বাড়ির সামনে যেয়ে বিক্ষোভ করতে থাকে এবং মেয়রের বাসা লক্ষ করে ইট-পাটকেল ছুড়তে থাকে। এর জবাবে মেয়র মীরু ও তার ভাই মিন্টু বিক্ষোভকারীদের লক্ষ করে এলোপাথারি গুলি ছুড়তে থাকে। এ সময় ঘটনার সংবাদ সংগ্রহের কাজে কর্তব্যরত দৈনিক সমকালের শাহজাদপুর প্রতিনিধি শিমুল গুলিবিদ্ধ হন। প্রথমে তাকে বগুড়া ও পরের দিন উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেয়ার পথে তিনি মারা যান।

এ ঘটনায় সাংবাদিক শিমুলের স্ত্রী নুরুন্নাহার বেগম বাদী হয়ে পৌর মেয়র মীরুকে প্রধান আসামী করে ,১৮জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরো ২০/২৫ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় শাহজাদপুর পৌর মেয়র হালিমুল হক মীরু ও তার ভাই পাবনা জেলা জাসদের সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাবিবুল হক মিন্টুসহ ১৩ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাদেরকে দুই দফায় রিমান্ডে নেয়ার পর আজ শটগান উদ্ধার করতে সক্ষম হল পুলিশ।