দ্বিতীয় মেয়াদে ট্রাম্প: যুক্তরাষ্ট্রকে কীভাবে নিচ্ছে চীন

আট বছর আগের ট্রাম্প আমলের তিক্ত অভিজ্ঞতা ভুলে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্কের নতুন অধ্যায় রচনার প্রস্তুতি নিচ্ছে চীন। ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে দুই দেশের মধ্যকার বাণিজ্য যুদ্ধ অর্থনৈতিক সম্পর্ককে তলানিতে নিয়ে গিয়েছিল। এবার ট্রাম্পের সম্ভাব্য প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থিতার প্রেক্ষিতে বেইজিং সম্পর্ক উন্নয়নের নীতি গ্রহণ করছে। 

২০১৯ সালের ছবি

গত চার বছরে প্রযুক্তিগত উন্নতির মাধ্যমে চীন এখন আগের চেয়ে অনেক বেশি স্বাবলম্বী। ট্রাম্পের সম্ভাব্য শুল্ক আরোপ মোকাবেলার জন্যও প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে দেশটি। সাংহাইয়ের ফুদান ইউনিভার্সিটির আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞ ঝাও মিনহাও’র মতে, ট্রাম্পের আগের আমলের কূটনৈতিক রীতি আর চীন গ্রহণ করবে না।

চায়না ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশনের (সিআইসি) সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক উইনস্টন মা’র মতে, ২০১৮ সালে চীনা টেলিকমিউনিকেশন কোম্পানির ওপর ট্রাম্পের আরোপিত নিষেধাজ্ঞাই চীনের এই নীতি পরিবর্তনের মূল কারণ।

গত বৃহস্পতিবার চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিন পিং ট্রাম্পের উদ্দেশে পাঠানো এক বার্তায় দুই দেশের মধ্যে স্থিতিশীল ও টেকসই সম্পর্ক স্থাপনের আহ্বান জানান। ‘সংঘাত নয়, সহযোগিতা’ এই নীতির ওপর জোর দিয়েছেন তিনি।

ট্রাম্পের পক্ষ থেকেও জানানো হয়েছে যে, চীনের কাছে ট্রাম্প অপরিচিত নন। দুই পক্ষের মধ্যে যোগাযোগ ও আলোচনার মাধ্যমে সম্পর্ক উন্নয়ন সম্ভব।

২০১৬ সালের তুলনায় যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক অবস্থা এখন দুর্বল। অন্যদিকে, চীনা প্রযুক্তি জায়ান্টরা এখন মার্কিন আমদানির ওপর কম নির্ভরশীল। বৈশ্বিক বাণিজ্য সম্প্রসারণের লক্ষ্যে চীন বিভিন্ন আঞ্চলিক জোটের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করছে।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের শুল্ক আরোপের পরেও বেইজিং নমনীয় রয়েছে এবং আলোচনা অব্যাহত রেখেছে। জাপানের সঙ্গে দুই বছরের দ্বন্দ্বের অবসান ঘটিয়েছে এবং অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারে চীনা প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াং সফর করেছেন। গত মাসে ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলন, সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন এবং গ্লোবাল সাউথের সঙ্গেও সম্পর্ক জোরদার করেছে বেইজিং।

সূত্র: গালফ টাইমস