গভর্নর: মূল্যস্ফীতি কমতে আরও আট মাস

বর্তমান অর্থনৈতিক পদক্ষেপের আওতায় মূল্যস্ফীতি লক্ষ্যমাত্রার মধ্যে আনতে আরও আট মাস সময় লাগবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর। আজ সোমবার ঢাকায় বণিক বার্তা আয়োজিত ‘তৃতীয় বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সম্মেলন, ২০২৪’-এ বক্তব্য রাখার সময় তিনি এই আভাস দেন।

আহসান এইচ মনসুর

গভর্নর আশ্বস্ত করেছেন যে, মূল্যস্ফীতির চাপ এড়াতে গত তিন মাস ধরে কেন্দ্রীয় ব্যাংক টাকা ছাপানো থেকে বিরত রয়েছে। অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য এ পদক্ষেপ অপরিহার্য বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

‘আমরা নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম কমানোর জন্য সক্রিয়ভাবে কৌশল বাস্তবায়ন করছি এবং মূল্যস্ফীতি ৫ থেকে ৬ শতাংশের মধ্যে নামিয়ে আনার লক্ষ্যে কাজ করছি,’ তিনি বলেন।

ড. মনসুর স্বীকার করেন যে, কিছু ব্যাংক এখনও গ্রাহকদের অর্থ পরিশোধের দাবিতে সাড়া দিতে হিমশিম খাচ্ছে। তবে, কেন্দ্রীয় ব্যাংক এই ব্যাংকগুলোকে সহায়তা করছে এবং ব্যাংকিং খাতের ভবিষ্যৎ নিয়ে আশাবাদী।

তিনি বলেন, ‘সমস্ত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। আমরা আশা করছি আগামী দুই-তিন বছরের মধ্যে একটি স্থিতিশীল ব্যাংকিং খাত দেখতে পাব।’

বাংলাদেশ ব্যাংক দশটি ব্যাংকের সম্পদ হিসাবের নিরীক্ষা শুরু করেছে এবং পর্যায়ক্রমে বাকি ব্যাংকগুলোরও নিরীক্ষা করার পরিকল্পনা রয়েছে।

বাংলাদেশের ব্যাংকিং ব্যবস্থার একটি অনন্য দিক তুলে ধরে ড. মনসুর বলেন, শাখার নৈকট্যের ভিত্তিতে বাংলাদেশে ব্যাংকিং ঘনত্ব বিশ্বে সর্বোচ্চ।

ব্যাংকিং খাতে লিঙ্গ বৈষম্যের বিষয়টি উল্লেখ করে গভর্নর বলেন, বৈষম্য কমাতে ব্যাংকিংসহ বিভিন্ন খাতে নারীদের প্রতিনিধিত্ব বাড়ানোর পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।

ড. মনসুর আরও স্পষ্ট করে বলেন, বেক্সিমকো গ্রুপের জন্য সম্প্রতি একজন রিসিভার নিয়োগ দেওয়া হয়েছে প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ করার জন্য নয়, বরং এর কার্যক্রম অব্যাহত রাখার জন্য। পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনার জন্য, দ্বিপাক্ষিক চুক্তিসহ বিভিন্ন প্রচেষ্টা চলছে এবং উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে।

গভর্নর প্রকল্পের প্রয়োজনীয়তা অনুসারে, ডিটেইলড প্রজেক্ট প্ল্যান (ডিপিপি) এবং টেকনিক্যাল অ্যাসিস্ট্যান্স প্রজেক্ট প্রফর্মা (টিএপিপি)-তে উল্লিখিত রাজস্ব ও মূলধন খাতে প্রকল্প ব্যয়ের বিভাজন সম্পর্কেও উল্লেখ করেন। এর মধ্যে প্রকল্প সহায়তার অংশ হিসেবে ডাইরেক্ট প্রজেক্ট এইড (ডিপিএ) এবং রিইম্বার্সেবল প্রজেক্ট এইড (আরপিএ) বরাদ্দ অন্তর্ভুক্ত।