ট্রাম্প-কমলার জয়-পরাজয়, নেপথ্যের রহস্য

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিস্ময়কর প্রত্যাবর্তন ঘটেছে। জনপ্রিয় ডেমোক্র্যাট প্রার্থী কমলা হ্যারিসকে পরাজিত করে তিনি হোয়াইট হাউসে ফিরে আসছেন। এই অপ্রত্যাশিত জয়ের পেছনের রহস্য উন্মোচন করেছেন ক্যাথলিক লিগ ফর রেলিজিয়াস অ্যান্ড সিভিল রাইটসের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. বিল ডোনোহু।

ডোনাল্ড ট্রাম্প ও কমলা হ্যারিস

ড. ডোনোহু মনে করেন, আমেরিকানরা একজন মধ্যপন্থী রাষ্ট্রনেতা চান। কমলা হ্যারিসের ব্যক্তিত্ব ও বক্তব্য জনগণের কাছে আকর্ষণীয় প্রমাণিত হয়নি। তিনি জাতির সামনে স্পষ্ট কোনো বার্তা উপস্থাপন করতে ব্যর্থ হয়েছেন।

প্রধান ধারার গণমাধ্যম এই ফলাফলে বিস্মিত। কারণ তারা জনগণের পালস বোঝার চেষ্টা না করে, বুদ্ধিজীবী ও সেলিব্রিটিদের মতামতকেই বেশি গুরুত্ব দিয়েছিলেন।

নির্বাচন-পূর্ব তহবিল সংগ্রহের দিক থেকে কমলা হ্যারিস এগিয়ে ছিলেন। বিল গেটস, মাইকেল ব্লুমবার্গের মতো ব্যক্তিরা কোটি কোটি ডলার তার প্রচারণায় ঢেলেছিলেন। কিন্তু অর্থ এককভাবে নির্বাচনে জয় নিশ্চিত করতে পারেনি।

কমলা হ্যারিস উইনফ্রে, ব্রুস স্প্রিংস্টিন, বিয়ন্সের মত সেলিব্রিটিদের প্রচারণায় নিয়োজিত করেছিলেন। স্যাটারডে নাইট লাইভের মত জনপ্রিয় কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করেছিলেন। কিন্তু এই চমক-দমক তার ছবি ধূসর করে তুলেছে।

জরিপ প্রতিষ্ঠানগুলোর ভুল প্রশ্ন ও অগভীর পর্যবেক্ষণ জনমত বুঝতে ব্যর্থ হয়েছে। জেএল পার্টনার্স ই একমাত্র ট্রাম্পের জয়ের সম্ভাবনার পূর্বাভাস দিয়েছিল।

ডেমোক্র্যাটিক কৌশলবিদ জেমস কারভিল আগেই সতর্ক করেছিলেন যে, কমলা হ্যারিসের কোন স্পষ্ট বার্তা নেই। ট্রাম্পের বিরোধিতা কোন বার্তা হতে পারে না। বাইডেন প্রশাসনের ব্যর্থতা ও কমলা হ্যারিসের অভিজ্ঞতার অভাব তার জন্য মারাত্মক হয়ে দাঁড়ায়।

ডেমোক্র্যাটদের অভিবাসন নীতি, অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনা, সামাজিক নীতি ইত্যাদি বিষয় জনগণের অসন্তোষের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল।