ঢাকায় ট্রানজিট ভিত্তিক উন্নয়নের খসড়া নীতিমালা উপস্থাপন

জাপান আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থার (জাইকা) কারিগরি সহায়তায় রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন ‘গণপরিবহনের করিডোর বরাবর ট্রানজিট ভিত্তিক উন্নয়নের নীতিমালা ও নির্দেশিকা প্রণয়ন প্রকল্প’ এর তৃতীয় সেমিনার আজ বৃহস্পতিবার (৭ অক্টোবর) বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

ছবি - সংগৃহীত

সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের মাননীয় উপদেষ্টা জনাব আদিলুর রহমান খান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব জনাব মো. হামিদুর রহমান খান, ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক জনাব মোহাম্মদ আবদুর রউফ এবং জাইকা বাংলাদেশের প্রধান প্রতিনিধি মি. ইচিগুচি তমহিদে। রাজউকের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল জনাব মো. ছিদ্দিকুর রহমান সরকার (অব.) সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন।

প্রকল্প পরিচালক মাহফুজা আক্তার সূচনা বক্তব্যে প্রকল্পের প্রেক্ষাপট, কার্যক্রম এবং ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা তুলে ধরেন। জাইকার পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের টিম লিডার মিজ নজমি হিসিদা টিওডির (ট্রানজিট ওরিয়েন্টেড ডেভেলপমেন্ট) ধারণা, প্রকল্প বাস্তবায়নের বিভিন্ন দিক, ঢাকার ক্ষেত্রে টিওডি উন্নয়নের চ্যালেঞ্জ এবং গাবতলী স্টেশনকেন্দ্রিক পাইলট কেস স্টাডি উপস্থাপন করেন। পরবর্তীতে বাংলাদেশের জন্য খসড়া টিওডি নীতিমালা উপস্থাপন করা হয়। উত্তরা সেন্টার স্টেশনে রাজউক ও ডিএমটিসিএল-এর যৌথ উদ্যোগে প্রথম টিওডি উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের পরিকল্পনার অগ্রগতি তুলে ধরা হয়।

উল্লেখ্য, ঢাকার ক্রমবর্ধমান যানজট মোকাবেলায় সংশোধিত কৌশলগত পরিবহন পরিকল্পনা (আরএসটিপি) (২০১৬-২০৩৫)-এ ছয়টি এমআরটি লাইন এবং দুটি বিআরটি লাইন স্থাপনের পরিকল্পনা রয়েছে। এমআরটি স্টেশনকেন্দ্রিক টিওডি বাস্তবায়নের বিষয়টি খসড়া ঢাকা স্ট্রাকচার প্ল্যান এবং বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনা (২০২২-২০৩৫)-এ উল্লেখ রয়েছে।

ছবি - সংগৃহীত

এই প্রকল্পের আওতায় গাবতলী ব্রাউনফিল্ড এলাকার একটি প্রাথমিক পরিকল্পনা এবং খসড়া টিওডি নির্দেশিকা তৈরি করা হয়েছে। এই সেমিনারের মূল উদ্দেশ্য ছিল অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে প্রণীত টিওডি নির্দেশিকা এবং টিওডি পাইলট প্রকল্পের ফলাফল সম্পর্কে ধারণা প্রদান, প্রাথমিক পরিকল্পনার খসড়া উপস্থাপন এবং ঢাকার যানজট নিরসনে সংশ্লিষ্ট সবার সমন্বয়ে টিওডি বাস্তবায়ন। এছাড়া প্রকল্পের অদ্যাবধি কাজের ওপর বিশেষজ্ঞ ও অংশীজনদের মতামত গ্রহণ করা হয়েছে।

টিওডি ধারণার সঠিক বাস্তবায়ন শহরের পরিবহন ব্যবস্থা ও জীবনমান উন্নয়নের পাশাপাশি স্থানীয় অর্থনীতিকেও গতিশীল করবে। এমআরটি স্টেশনকেন্দ্রিক উন্নয়ন এলাকায় বাণিজ্যিক, আবাসিক ও অবসরকালীন স্থাপনার সমন্বয়ে জীবনযাত্রা আরও সহজ ও নিরাপদ হবে।

সেমিনারে সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সরকারি প্রতিষ্ঠান এবং পরিবহন বিশেষজ্ঞগণ উপস্থিত থেকে নীতিমালা নিয়ে প্রশ্নোত্তর পর্বে অংশগ্রহণ করেন। প্রকল্পের প্রথম সেমিনার ২০২২ সালে এবং দ্বিতীয় সেমিনার ২০২৩ সালে অনুষ্ঠিত হয়েছিল।