অবিশ্বাস্য! ১৩২ বছরের রেকর্ড ভাঙলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। সুইং স্টেট উইসকনসিনে জয় পেয়েছেন তিনি। এর ফলে সাবেক এই প্রেসিডেন্ট ৬০তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়লাভ করলেন। আর এরই মাধ্যমে ১৩২ বছরের একটি রেকর্ড ভাঙলেন তিনি। ট্রাম্পের আগে আর মাত্র একজন মার্কিন প্রেসিডেন্ট পরাজয়ের পর দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হতে পেরেছিলেন। ১৩২ বছর পর একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটেছে।

ডোনাল্ড ট্রাম্প

মার্কিন নিউজ চ্যানেল সিএনবিসির খবরে বলা হয়েছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে প্রেসিডেন্ট গ্রোভার ক্লিভল্যান্ডের পর ট্রাম্পের ক্ষেত্রেও একই কাণ্ড ঘটেছে। 

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হতে ২৭০টি ইলেক্টোরাল ভোটের দরকার হয়। এবারের নির্বাচনে ট্রাম্প ২৭৯টি ভোট নিশ্চিত করেছেন। ২০২৪ সালের নির্বাচনটি আরেকটি কারণেও তাৎপর্যপূর্ণ। ট্রাম্প দুই দশকের মধ্যে জনপ্রিয় ভোটে জয়ী হওয়া প্রথম রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট হতে যাচ্ছেন। ২০১৬ সালের নির্বাচনে ৫৩৮টি ইলেক্টোরাল ভোটের মধ্যে ৩০৪টি অর্জন করা সত্ত্বেও তিনি জনপ্রিয় ভোটে জয়ী হতে ব্যর্থ হয়েছিলেন।   

এক শতাব্দীর বেশি সময় আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট গ্রোভার ক্লিভল্যান্ডের ক্ষেত্রেও একই ঘটনা ঘটেছিল। তিনি একজন ডেমোক্র্যাট ছিলেন। ১৮৮৪ সালে তিনি প্রথমবার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। এরপর ১৮৮৮ সালে রিপাবলিকান প্রার্থী বেঞ্জামিন হ্যারিসনের কাছে সামান্য ব্যবধানে পরাজিত হন তিনি। ৪ বছর পরে তার শক্তিশালী প্রত্যাবর্তন ঘটেছিল। ১৮৯২ সালের নির্বাচনে তিনি ৪৪৪টি ইলেক্টোরাল ভোটের মধ্যে ২৭৭টিতে জিতেছিলেন। ক্লিভল্যান্ড যুক্তরাষ্ট্রের ২২তম ও ২৪তম প্রেসিডেন্ট ছিলেন। 

এদিকে ক্লিভল্যান্ড এবং ট্রাম্পের মধ্যে এই ঐতিহাসিক মিল ছাড়াও আরও বিভিন্ন বিষয়েও মিল রয়েছে। উভয়েই নিউ ইয়র্ক থেকে এসেছেন। তারা পেশাদার রাজনীতিবিদ ছিলেন না বরং বহিরাগত হিসাবে রাজনীতিতে প্রবেশ করেন। দুর্নীতিগ্রস্ত ওয়াশিংটন ডিসিকে সংস্কারের প্রতিশ্রুতি দিয়ে হোয়াইট হাউসে যান তারা। প্রেসিডেন্ট হওয়ার আগে উভয়েই কখনো মার্কিন কংগ্রেসে কাজ করেননি। এমনকি কোনো ফেডারেল পদেও অধিষ্ঠিত ছিলেন না। তবে তারা দুজনেই পরিবর্তনের প্রতিশ্রুতি দিয়ে আমেরিকান ভোটারদের হৃদয় জয় করতে সফল হয়েছেন।