আপনি পড়ছেন

জনমত জরিপে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী কমলা হ্যারিস ও রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের জনপ্রিয়তার ব্যবধান সামান্য। ভোটে তাদের যে কেউ জিততে পারে। তবে কিছু গুরুত্বপূর্ণ অনুঘটক রয়েছে, যা জয়-পরাজয় নির্ধারণ করবে। সুইং স্টেট বা দোদুল্যমান রাজ্যগুলোতেও হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে অবতীর্ণ হয়েছেন দুই প্রার্থী। এই অবস্থায় চূড়ান্ত বিজয় নির্ভর করছে ভোটারদের ওপর, যা নির্ধারিত হবে কেবলই ভোটকেন্দ্রে।

donald trump and kamala harris 1ডোনাল্ড ট্রাম্প ও কমলা হ্যারিস

রিপাবলিকানরাই ট্রাম্পের বিরুদ্ধে: দেশব্যাপী ভোটে ট্রাম্পের গ্রহণযোগ্যতা ৪৩ শতাংশে আটকে আছে। বিগত দুটি নির্বাচনে তিনি ৫০ শতাংশ গ্রহণযোগ্যতা পেতে ব্যর্থ হয়েছিলেন। এর মানে, ট্রাম্প নিজ দলের মধ্যেও শতভাগ সমর্থন পাননি। সুতরাং জনপ্রিয় ভোটে তার জয় পাওয়ার সম্ভাবনা কম। মনোনয়ন দৌড়ে ট্রাম্প ফ্লোরিডার গভর্নর রন ডিস্যান্টিস, জাতিসংঘের সাবেক রাষ্ট্রদূত নিকি হ্যালিসহ কয়েকজনকে পরাজিত করলেও ১৫-২০ শতাংশ রিপাবলিকান তাকে সমর্থন দেয়নি। এসব ভোট কমলার দিকে যাবে। আর লড়াইয়ে জিততে কমলার এই ভোটগুলোই দরকার। এর আগে কমলার মতো কেউ অন্য দলের ভোটার এভাবে টানতে পারেননি।

অর্থনৈতিক সংকট: অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে কিছু বিষয় দুই প্রার্থীকে এগিয়ে নেবে কিংবা পিছিয়ে দেবে। সেগুলো হলো- অভিবাসন নীতি, পারিবারিক বাজেট সংকট, জীবনযাত্রার চাপ এবং ভোটারদের ভবিষ্যৎ অর্থনৈতিক নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ। বাইডেন ও হ্যারিস সরকারের চার বছরে মুদিপণ্য, গৃহাস্থালির জিনিসপত্র, ইউটিলিটি খরচ এবং বীমার মতো পরিষেবার দাম বেড়ে গেছে। বেড়েছে পেট্রোলের দামও। যদিও সুদের হার কমেছে, তবুও আমেরিকান পরিবারগুলো সংকটে রয়েছে।

অভিবাসন নীতি: ২০১৬ সালের নির্বাচনে ট্রাম্প অভিবাসন নীতির প্রচারেই জিতে এসেছিলেন। তিনি অভিবাসন নীতি কঠোর করার পক্ষে ছিলেন। মেক্সিকো সীমান্ত নিয়ে সৃষ্ট সংকটগুলো তিনি ভোটারদের সামনে তুলে ধরেছিলেন। বাইডেনের প্রথম তিন বছর যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসীদের ঢল নামে। অভিবাসন সংকট দূর করতে ভোটাররা ট্রাম্পকেই উপযুক্ত মনে করেন।

প্রজনন অধিকার: গর্ভপাতের অধিকার ও প্রজনন স্বাস্থ্য পরিষেবা যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান সমস্যার একটি। দেশটিতে নারীর গর্ভপাতের অধিকারের পক্ষে ব্যাপক প্রচার চালিয়েছেন কমলা। ওহিও এবং কানসাসসহ বেশ কয়েকটি রক্ষণশীল রাজ্যের মানুষ গর্ভপাতের অধিকার পুনরুদ্ধারের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। নির্বাচনে ভোটাররা এক্ষেত্রে কমলাকেই বেছে নেবেন। তারা প্রজনন অধিকারে ট্রাম্পের চেয়ে কমলার ওপর বেশি আস্থাশীল। প্রজনন অধিকারের পক্ষে থাকায় কমলা নেভাদা ও আরিজোনায়ও সুবিধা পাবেন বলে মনে করা হচ্ছে।

গণতন্ত্র: আমেরিকান গণতন্ত্রের ভবিষ্যৎ নিয়ে মার্কিন জনগণ উদ্বিগ্ন। একটি নতুন জরিপে দেখা গেছে, দেশটির অর্ধেক মানুষ ট্রাম্পকে আমেরিকার গণতন্ত্রের জন্য বড় হুমকি হিসাবে দেখে। কারণ ট্রাম্পকে এর আগে নীতি ও কর্মসূচি কার্যকর করার জন্য কর্তৃত্ববাদী শক্তি প্রয়োগ করতে দেখা গেছে। এমনকি ভোটের প্রচারের শেষ দিকেও ট্রাম্পকে হিংসাত্মক আচরণ দেখা গেছে। গত সপ্তাহে তিনি আরিজোনার সাবেক রিপাবলিকান কংগ্রেসম্যান লিজ চেনিকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন। চেনিকে তিনি যুদ্ধবাজ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন।

তাহলে কে জিতবে: ট্রাম্পের দলীয় পোলস্টার থেকে বলা হচ্ছে, ট্রাম্পের অবস্থান চার বছরের আগের তুলনায় এখন অনেক ভালো। আর কমলার প্রচারাভিযানবিষয়ক পরিচালক ডিলন বলেছেন, ডেমোক্র্যাটদের সামনে বিজয়ী হওয়ার অনেক পথ খোলা। ভোটাররা কমলাকে জয়ী করতেই ভোট দেবেন।

মার্কিন নির্বাচনে কমলা জয়ী হলে মনে করতে হবে, ভোটাররা ট্রাম্পকে রুখে দিতেই কমলাকে ভোট দিয়েছেন। আর ট্রাম্প বিজয়ী হলে বুঝে নিতে হবে, ভোটাররা মূলস্ফীতি ও জীবনযাত্রার ব্যয় নিয়ে বাইডেন প্রশাসনের ব্যর্থতার বিরুদ্ধে ট্রাম্পকে ভোট দিয়েছেন।

সূত্র: আইরিশ এক্সামিনার

গুগল নিউজে আমাদের প্রকাশিত খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন...

খেলাধুলা, তথ্য-প্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, দেশ-বিদেশের রাজনৈতিক বিশ্লেষণ সহ সর্বশেষ খবর

Stay up-to-date with the latest news from Bangladesh. Our comprehensive coverage includes politics, business, sports, and culture. Get breaking news, analysis, and commentary on the issues that matter most to Bangladeshis and the international community.

Bangladesh is a country located in South Asia and is home to a diverse population of over 160 million people. It has a rich cultural heritage and a rapidly growing economy. News from Bangladesh covers a wide range of topics, including politics, economics, social issues, culture, and more. The country has made significant progress in recent years in areas such as poverty reduction, education, and healthcare. However, it still faces challenges such as corruption and environmental degradation. Bangladeshi news sources cover both local and international news to keep the public informed about the latest developments and events.