‘বিদেশে পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনতে সরকার বদ্ধপরিকর’

বিদেশে পাচার হওয়া বিপুল পরিমাণ অর্থ ফেরত আনার জন্য অন্তর্বর্তী সরকার আন্তরিক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে, যদিও এটি একটি কঠিন কাজ বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।

শফিকুল আলম

রবিবার পররাষ্ট্র একাডেমিতে এক সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আপনারা জানেন এটি একটি কঠিন কাজ, তবে আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। এটি বাংলাদেশের জনগণের অর্থ। আমরা আশা করি, পাচার হওয়া অর্থ ফেরত এলে দেশের মানুষ উপকৃত হবে।’

উপ-প্রেস সচিব অপূর্ব জাহাঙ্গীর এবং আবুল কালাম আজাদ মজুমদারও এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার, ক্ষমতা গ্রহণের শুরু থেকেই চুরি হওয়া অর্থ উদ্ধারের ওপর গুরুত্ব দিয়ে আসছে।

ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)-এর নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে প্রতি বছর বাংলাদেশ থেকে প্রায় ১২ থেকে ১৫ বিলিয়ন ডলার পাচার হয়েছে।

প্রধান উপদেষ্টা বিভিন্ন রাষ্ট্রপ্রধান, বিদেশি রাষ্ট্রদূত এবং অন্যান্য সংস্থার প্রধানদের সঙ্গে বৈঠকে এই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছেন, যা তার সরকারের অন্যতম প্রধান কর্মসূচি।

শফিকুল আলম জানান, বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)ও এ বিষয়ে কাজ করছে।

তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) সঙ্গে বার্ষিক বৈঠকে অর্থ উপদেষ্টা এবং কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের গভর্নরও এই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছেন।

শফিকুল আলম বলেন, ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর জেলে হত্যাকাণ্ডের শিকার চার জাতীয় নেতা - সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমেদ, এএইচএম কামরুজ্জামান এবং এম মনসুর আলীর - মহান মুক্তিযুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার স্বীকৃতি দেয় অন্তর্বর্তী সরকার।