ব্যালন ডি’অর: কে হলেন কততম?

শেষ মুহূর্তে উল্টে গেল পাশার দান। রিয়াল মাদ্রিদের ব্রাজিলিয়ান ফরওয়ার্ড ভিনিচিয়াস ‍জুনিয়রকে পেছনে ফেলে এ বছরের ব্যালন ডি’অর জিতলেন ম্যানচেস্টার সিটির স্প্যানিশ মিডফিল্ডার রদ্রি। দীর্ঘ ৬৪ বছর পর স্পেনের কেউ পেলেন ছেলেদের বর্ষসেরার মুকুট। সোমবার রাতে প্যারিসের জমকালো আয়োজনে রদ্রির হাতে তুলে দেওয়া হয় পুরস্কার।

৬৪ বছর পর স্পেনে জন্ম নেওয়া কোনো ফুটবলার জিতলেন ব্যালন ডি’অর। ছবি: ফাইল

লাইবেরিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট, এসি মিলান কিংবদন্তি ও ১৯৯৫ সালের ব্যালন ডি’অরজয়ী জর্জ উইয়াহ বর্ষসেরা ফুটবলার হিসেবে রদ্রির নাম ঘোষণা করেন। ম্যানচেস্টার সিটির হয়ে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ, ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ ও উয়েফা সুপার কাপ জেতেন রদ্রি। স্পেনের জার্সিতে স্বাদ পান ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের।

সেসব সাফল্যের আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি মিলল। প্রথমবারের মতো বর্ষসেরা হলেন রদ্রি। ২৮ বছর বয়সী রদ্রি প্যারিসের গালায় পুরস্কার নিতে আসেন ক্র্যাচে ভর দিয়ে। যদিও এই অনুষ্ঠান বয়কটের ঘোষণা দিয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ। প্যারিস যাত্রার আগ মুহূর্তে সিদ্ধান্ত জানায় ক্লাবটি। ক্লাবটির কেউ আসেননি এই অনুষ্ঠানে। অথচ ব্যালন ডি’অরের ৩০ জনের প্রাথমিক তালিকায় রিয়ালের ছিলেন বেশ কয়েকজনই।

সেরার লড়াইয়ে র‌্যাঙ্কিংয়ে কে কোথায় অবস্থান করেছেন একনজরে তা দেখে নেওয়া যাক:

ব্যালন ডি’অর ২০২৪ র‌্যাঙ্কিং:

প্রথম: রদ্রি (ম্যানচেস্টার সিটি ও স্পেন)।
দ্বিতীয়: ভিনিচিয়াস জুনিয়র (রিয়াল মাদ্রিদ ও ব্রাজিল)।
তৃতীয়: জুডে বেলিংহাম (রিয়াল মাদ্রিদ ও ইংল্যান্ড)।
চতুর্থ: ড্যানি কারভাহাল (রিয়াল মাদ্রিদ ও স্পেন)।
পঞ্চম: আর্লিং হাল্যান্ড (ম্যানচেস্টার সিটি ও নরওয়ে)।

ষষ্ঠ: কিলিয়ান এমবাপ্পে (পিএসজি/রিয়াল মাদ্রিদ ও ফ্রান্স)।
সপ্তম: লাওতারো মার্টিনেজ (ইন্টার মিলান ও আর্জেন্টিনা)।
অষ্টম: লেমিন ইয়ামাল (বার্সেলোনা ও স্পেন)।
নবম: টনি ক্রুস (রিয়াল মাদ্রিদ ও জার্মানি)।
দশম: হ্যারি কেন (বায়ার্ন মিউনিখ ও ইংল্যান্ড)।

১১তম: ফিল ফোডেন (ম্যানচেস্টার সিটি ও ইংল্যান্ড)।
১২তম: ফ্লোরিয়ান ওয়ার্টজ (বায়ার লেভারকুজেন ও জার্মানি)।
১৩তম: ড্যানি ওলমো (লাইপজিগ/বার্সেলোনা ও স্পেন)।
১৪তম: অ্যাদেমোলা লুকমান (আটালান্টা ও নাইজেরিয়া)।
১৫তম: নিকো উইলিয়ামস (অ্যাথলেতিক বিলবাও ও স্পেন)।

১৬তম: গ্রানিত জাকা (বায়ার লেভারকুজেন ও সুইজারল্যান্ড)।
১৭তম: ফেডেরিকো ভালভের্দে (রিয়াল মাদ্রিদ ও উরুগুয়ে)।
১৮তম: এমিলিয়ানো মার্তিনেজ (অ্যাস্টন ভিলা ও আর্জেন্টিনা)।
১৯তম: মার্টিন ওডেগার্ড (আর্সেনাল ও নরওয়ে)।
২০তম: হাকান কালহানোগলু (ইন্টার মিলান ও তুরস্ক)।

২১তম: বুকায়ো সাকা (আর্সেনাল ও ইংল্যান্ড)।
২২তম: অ্যান্তনিও রুদিগার (রিয়াল মাদ্রিদ ও জার্মানি)।
২৩তম: রুবেন দিয়াজ (ম্যানচেস্টার সিটি ও পর্তুগাল)।
২৪তম: উইলিয়াম সালিবা (আর্সেনাল ও ফ্রান্স)।
২৫তম: কোল পালমার (ম্যানচেস্টার সিটি/চেলসি ও ইংল্যান্ড)।

২৬তম: ডেকলান রিস (আর্সেনাল ও ইংল্যান্ড)।
২৭তম: ভিতিনহা (পিএসজি ও পর্তুগাল)।
২৮তম: অ্যালেক্স গ্রিমালডো (বায়ার লেভারকুজেন ও স্পেন)।
২৯তম (যৌথ): ম্যাট হ্যামেলস (বরুসিয়া ডর্টমুন্ড ও জার্মানি )।
২৯তম (যৌথ) আর্তেম দোভিক (জিরোনা/রোমা ও ইউক্রেন )।