গণভবনে গণঅভ্যুত্থানের জাদুঘর: দ্রুত নির্মাণে প্রধান উপদেষ্টার তাগিদ

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস আজ উপদেষ্টাদেরকে জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের স্মৃতি ধরে রাখতে গণভবনে দ্রুততার সঙ্গে একটি জাদুঘর নির্মাণের নির্দেশ দিয়েছেন। ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারি বাসভবন হিসেবে ব্যবহৃত হওয়া গণভবন পরিদর্শনকালে তিনি এই নির্দেশনা দেন।

ছবি - সংগৃহীত

ভবনটির ধ্বংসাবশেষ পরিদর্শনকালে প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘এই জাদুঘরে তার অপশাসনের স্মৃতি এবং জনগণের ক্ষোভ যা তাকে ক্ষমতাচ্যুত করতে বাধ্য করেছিল, তা ধরে রাখতে হবে।’

শেখ হাসিনা বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নেওয়ার পর গত ৫ আগস্ট লক্ষ লক্ষ মানুষ গণভবনে ঝাঁপিয়ে পড়ে। বিক্ষোভকারীরা গণভবনের দেওয়ালে ও কক্ষে ‘খুনি হাসিনা’ লিখে এবং ছবি এঁকে তাদের ক্ষোভ প্রকাশ করে।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, গণভবনের জাদুঘরে হাসিনার কুখ্যাতিপূর্ণ নিরাপত্তা বাহিনীর গোপন কারাগার ‘আয়নাঘরের’ একটি প্রতিরূপ তৈরি করা উচিত। এই আয়নাঘর দর্শনার্থীদেরকে গোপন বন্দীদের ওপর চালানো নির্যাতনের কথা মনে করিয়ে দেবে।

পরিদর্শনকালে উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, নাহিদ ইসলাম এবং আসিফ মাহমুদ প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে ছিলেন। প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলমও উপস্থিত ছিলেন।

প্রফেসর ইউনূস উপদেষ্টাদেরকে জাদুঘর বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে পরামর্শ করার নির্দেশ দেন।

তিনি তাদেরকে চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে জাদুঘরের প্রস্তাব চূড়ান্ত করতে বলেন।

ছাত্রনেতা থেকে উপদেষ্টা হওয়া নাহিদ ইসলাম বলেন, ২০০৯ সাল থেকে হাসিনা সরকারের সকল অপকর্ম জাদুঘরে সযত্নে সংরক্ষণ করা হবে।

তিনি বলেন, কীভাবে অন্যান্য দেশ তাদের বিপ্লব ও গণ-অভ্যুত্থানের স্মৃতিচিহ্ন নির্মাণ করেছে তা জানতে বিদেশি বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে।