সবজির দাম নিম্নমুখী, সরকারি পদক্ষেপ সত্ত্বেও পেঁয়াজ, ভোজ্যতেল, চিনির দাম বৃদ্ধি

গত এক সপ্তাহে ঢাকার বাজারে পেঁয়াজ, ভোজ্যতেল, চিনি এবং রসুনের দাম বেড়েছে। ভর্তুকি মূল্যে খোলা বাজার ব্যবস্থা জোরদার এবং আমদানি শুল্ক কমানোসহ দাম স্থিতিশীল করার জন্য সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপ সত্ত্বেও নিত্যপণ্যের দাম ক্রমশ বাড়ছে।

পেঁয়াজ, ভোজ্যতেল, চিনি ও সবজি

ব্যবসায়ীরা জানান, মৌসুমের বাইরে সরবরাহ কম থাকায় পেঁয়াজ ও রসুনের দাম বাড়ছে। দেশীয় জাতের পেঁয়াজ ও রসুনের মজুদ প্রায় শেষ হয়ে গেছে এবং এসব পণ্য আমদানির খরচও বেড়েছে।

খুচরা বিক্রেতারা জানান, পাইকারি বাজারে গত দুই সপ্তাহ ধরে ভোজ্যতেল ও চিনির দাম বাড়ছে। সম্প্রতি সরকার ছয়টি পণ্য — চাল, ভোজ্যতেল, চিনি, পেঁয়াজ, আলু এবং ডিম — আমদানি শুল্ক কমিয়েছে দাম কমানোর লক্ষ্যে। তবে ডিম ছাড়া অন্য সব পণ্যের দাম বাজারে বেড়ে যাওয়ায় ভোক্তারা এখনও এর সুফল পাচ্ছেন না।

গত এক সপ্তাহে পেঁয়াজের দাম কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে দেশীয় জাতের পেঁয়াজ ১৩০-১৪০ টাকা এবং আমদানি করা পেঁয়াজ ১০০-১১০ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়েছে।

রসুনের দাম কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে দেশীয় জাতের রসুন ২৩০-২৬০ টাকা এবং আমদানি করা রসুন ২২০-২৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়েছে।

সয়াবিন তেলের দাম লিটার প্রতি ৩-৪ টাকা বেড়ে খোলা তেল ১৫৫-১৬০ টাকা এবং বোতলজাত তেল ১৬৫-১৭০ টাকা লিটারে বিক্রি হয়েছে। ৫ লিটারের সয়াবিন তেল বিক্রি হয়েছে ৮০০-৮২০ টাকায়।

পাম তেলের দাম লিটার প্রতি ৩-৪ টাকা বেড়ে ১৫২-১৫৫ টাকা লিটারে বিক্রি হচ্ছে।

চিনির দাম কেজিতে ৫ টাকা বেড়ে ১৩৫-১৪০ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়েছে।

চালের বাজারেও দাম স্থির রয়েছে। মোটা ও মাঝারি মানের চাল বিক্রি হয়েছে ৫৪-৬২ টাকা কেজিতে। নিম্নমানের মিনিকেট চাল বিক্রি হয়েছে ৬৫-৭০ টাকা কেজিতে। সূক্ষ্ম মানের মিনিকেট চাল বিক্রি হয়েছে ৭৫-৮২ টাকা এবং নাজিরশাইল ৮০-৯০ টাকা কেজিতে।

ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিতে ১০ টাকা কমে ১৯০-২০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়েছে। সোনালী মুরগি বিক্রি হয়েছে ৩০০-৩২০ টাকা কেজিতে।

বেশিরভাগ সবজির দামে সামান্য নিম্নমুখী প্রবণতা লক্ষ্য করা গেছে। বেগুন ১০০-১৪০ টাকা, পেঁপে ৪০-৫০ টাকা, করলা ৯০-১০০ টাকা, পটল ৭০-৮০ টাকা, ঢেঁড়স ৮০-৯০ টাকা, বরবটি ১৩০-১৫০ টাকা, ঝিঙে ৯০-১০০ টাকা, চিচিঙ্গা ৮০-৯০ টাকা, শসা ৭০-৮০ টাকা এবং টমেটো ১৫০-১৭০ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়েছে।

কাঁচা মরিচের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে এবং ২০০-২৪০ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়েছে।

ডিমের দাম হালি প্রতি ২-৩ টাকা কমে ৫০-৫২ টাকা হালিতে বিক্রি হচ্ছে।

রুই মাছ ৩০০-৪৫০ টাকা এবং কাতলা ৩০০-৪৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। পাঙ্গাস বিক্রি হচ্ছে ২১০-২৩০ টাকা এবং তেলাপিয়া ২২০-২৩০ টাকা কেজিতে।

মোটা মসুর ডাল ১০৫-১১০ টাকা এবং মাঝারি মানের মসুর ডাল ১১৫-১২০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। সূক্ষ্ম মানের মসুর ডালের দাম বেশি রয়েছে এবং ১৩৫-১৪০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।