গ্যাটকো দুর্নীতি মামলা থেকে অব্যাহতি পেলেন খালেদা জিয়া

ঢাকার একটি আদালত বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া, দলটির জ্যেষ্ঠ নেতা খন্দকার মোশাররফ হোসেন এবং আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে গ্যাটকো দুর্নীতি মামলা থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন।

খালেদা জিয়া

এছাড়াও, আরেকটি আদালত ২০১৫ সালে বিএনপির অবরোধ কর্মসূচি এবং হরতাল চলাকালীন দেশব্যাপী ৪২ জনের মৃত্যুর ঘটনায় খালেদা জিয়া এবং অন্য তিনজনের বিরুদ্ধে করা মামলাটি বাতিল করে দিয়েছেন।

ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩ এর বিচারক আবু তাহের বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর, ২০২৪) গ্যাটকো দুর্নীতি মামলার অভিযোগ গঠনের শুনানি শেষে এই আদেশ দেন। তবে, আদালত চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সাবেক চেয়ারম্যান কমোডোর (অব.) জুলফিকার আলীসহ অপর ১২ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন।

মামলায় অভিযুক্ত অন্যান্যরা হলেন জাহানারা আনসার, ইসমাইল হোসেন সাইমন, একেএম মুসা কাজল, এহসান ইউসুফ, জুলফিকার হায়দার চৌধুরী, এ কে রশিদ উদ্দিন আহমেদ, গ্যাটকোর তৎকালীন পরিচালক শাহজাহান এম হাসিব, সৈয়দ তানভীর আহমেদ, সৈয়দ গালিব আহমেদ, এএসএম শাহাদাত হোসেন এবং এএম সানোয়ার হোসেন।

২০০৭ সালের ২ সেপ্টেম্বর, দুর্নীতি দমন কমিশন খালেদা জিয়া এবং তার ছোট ছেলে আরাফাত রহমানসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে ঢাকা ও চট্টগ্রামে অভ্যন্তরীণ কন্টেইনার ডিপোতে (আইসিডি) কন্টেইনার ব্যবস্থাপনার জন্য গ্লোবাল এগ্রো ট্রেড (প্রা.) লিমিটেডের সঙ্গে চুক্তি করার অভিযোগে তেজগাঁও থানায় মামলা দায়ের করে।

দুদক অভিযোগ করে যে, খালেদা জিয়া এবং অন্যান্যরা ঢাকা আইসিডি এবং চট্টগ্রাম বন্দরে কন্টেইনার ব্যবস্থাপনার কাজ গ্যাটকোকে দিয়ে রাষ্ট্রের ১৪.৫৬ কোটি টাকা আর্থিক ক্ষতিসাধন করেছেন।

২০০৮ সালের ১৩ মে ২৪ জনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করা হয়। কিন্তু আরাফাত এবং সাইফুর রহমানসহ ৮ জন আসামি মারা যান। অপর আসামি মতিউর রহমান নিজামীকে মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় ফাঁসি দেওয়া হয়। তাদের নাম বাদ দিয়ে মামলায় ১৫ জনের বিচার চলছিল।

এদিকে, ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম জিয়াদুর রহমান পুলিশের প্রতিবেদন গ্রহণ করে ২০১৫ সালে ৪২ জনের মৃত্যুর ঘটনায় খালেদা জিয়া ও অন্য তিনজনের বিরুদ্ধে করা মামলাটি বাতিলের আদেশ দেন।

এই মামলার অপর তিন আসামি হলেন বিএনপি নেতা রফিকুল ইসলাম মিয়া, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য প্রয়াত অধ্যাপক এমাজউদ্দিন আহমেদ এবং বিএনপি চেয়ারপারসনের সাবেক উপদেষ্টা শামসের মবিন চৌধুরী।

২০১৫ সালের ২ ফেব্রুয়ারি, জননেত্রী পরিষদের সভাপতি এবি সিদ্দিক ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে মামলাটি দায়ের করেন। পরবর্তীতে আদালত গুলশান থানাকে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।

তদন্তকারী কর্মকর্তা ২০২৪ সালের ২১শে সেপ্টেম্বর তার প্রতিবেদন দাখিল করেন এবং জানান, দণ্ডবিধির ৩০২/৩৪/১০৯ ধারায় আসামিদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সত্য বলে প্রমাণিত হয়নি।