অবশেষে সরকারি চাকরিতে বয়সসীমা বৃদ্ধি

সরকারি চাকরিতে আবেদনের সর্বোচ্চ বয়সসীমা বাড়িয়ে ৩২ বছর করা হয়েছে। মঙ্গলবার (আজ) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বাংলাদেশ সরকারের লোগো

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। উপদেষ্টা পরিষদের সভায় আলোচনার পর এ সংক্রান্ত আইন সংশোধনের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

নতুন নিয়ম অনুযায়ী, বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের সকল ক্যাডার এবং সকল সরকারি চাকরিতে আবেদনের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৩২ বছর নির্ধারণ করা হয়েছে।

তবে স্বায়ত্তশাসিত এবং আধা-স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট নিয়োগ বিধিমালা প্রযোজ্য থাকবে। প্রতিরক্ষা বাহিনী এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ক্ষেত্রেও তাদের নিজস্ব নিয়োগ বিধিমালা কার্যকর থাকবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।

এছাড়াও, এই আইন এবং ‘সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮’-এর ৫৯ ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ‘বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (বয়স, যোগ্যতা এবং পরীক্ষা) বিধিমালা, ২০১৪’ সংশোধন করবে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় একজন প্রার্থী সর্বাধিক তিনবার অংশগ্রহণ করতে পারবেন। বর্তমানে পরীক্ষায় অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে কোনো সীমা নেই।

উল্লেখ্য, বর্তমানে সরকারি চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩০ বছর এবং মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের ক্ষেত্রে ৩২ বছর।

গত কয়েক বছর ধরে, স্নাতক বের হওয়া তরুণরা সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বছর করার দাবি জানিয়ে আসছিলেন। এ দাবিতে তারা বারবার শাহবাগ মোড় অবরোধ করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছেন।

গত ২২ সেপ্টেম্বর সরকারের পক্ষ থেকে বয়সসীমা বৃদ্ধির কোন পরিকল্পনা নেই বলে জানানোর পর বিক্ষোভ আরও তীব্র আকার ধারণ করে। পরবর্তীতে ৩০ সেপ্টেম্বর প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের সামনে শত শত চাকরিপ্রার্থীর ব্যাপক বিক্ষোভের মুখে সরকার এ বিষয়ে একটি পর্যালোচনা কমিটি গঠন করে।