ই-রিটার্ন দাখিলে কোনো কাগজপত্র লাগবে না

করদাতাদের অনলাইনে ট্যাক্স রিটার্ন দাখিল করা সহজ করার জন্য, ই-রিটার্ন দাখিলের সময় কোনো নথি বা সফটকপি জমা দেওয়ার প্রয়োজন হবে না বলে জানিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের লোগো

‘আমরা ব্যবসা সহজ করার জন্য এবং করদাতাদের উৎসাহিত করার জন্য এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তবে, করদাতাদের প্রয়োজনীয় নথিপত্র হাতে রাখতে হবে,’ বলেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. আব্দুর রহমান খান।

তিনি আরও বলেন, ‘যদি কর কর্মকর্তারা কোনো অসঙ্গতি পান, তাহলে রিটার্নে তাদের ঘোষণার জন্য করদাতারা দায়ী থাকবেন।’

করদাতাদের ম্যানুয়ালি ট্যাক্স রিটার্ন দাখিলের সময় ই-টিআইএন, জাতীয় পরিচয়পত্র, ঠিকানা এবং পূর্ববর্তী বছরের রিটার্নের কপি প্রদান করতে হয়। এছাড়াও, চাকরিজীবীদের বেতন সনদ, ব্যাংক স্টেটমেন্ট এবং অন্যান্য প্রাসঙ্গিক নথি প্রদান করতে হয়। বিভিন্ন আয়ের উৎসের জন্য, বিনিয়োগের বিবরণ, সম্পত্তির তথ্য এবং করমুক্ত আয়ের সনদসহ সার্টিফিকেট বা নথি জমা দিতে হয়।

এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, ‘এই ক্ষেত্রে, করদাতাদের 'ঝুঁকি' নিতে হবে, কিন্তু আমরা বিশ্বাস করি যে করদাতারা সঠিক তথ্য প্রদান করবেন।’

গতকাল রাজধানীর আগারগাঁওয়ে এনবিআর সদর দপ্তরে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘আমরা করদাতা ও কর কর্মকর্তাদের মধ্যে যোগাযোগ কমাতে চাই।’

তিনি আরও জানান, তারা ইতিমধ্যেই করদাতাদের জন্য নীতিমালা তৈরি করেছেন এবং ভিডিও এবং অন্যান্য মাধ্যমের মাধ্যমে এটি প্রচারের পদক্ষেপ নিচ্ছেন।

এছাড়াও, ঢাকা উত্তর, ঢাকা দক্ষিণ, গাজীপুর এবং নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের আওতাধীন আয়কর সার্কেলের অধীনে সরকারি কর্মচারীদের জন্য অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিল বাধ্যতামূলক করার জন্য মঙ্গলবার একটি আদেশ জারি করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড।

এছাড়াও, সমস্ত তফসিলি ব্যাংক এবং মোবাইল টেলিকম সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্মীদের অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে হবে।

তারা ইউনিলিভার বাংলাদেশ লিমিটেড, ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশ লিমিটেড, মারিকো বাংলাদেশ লিমিটেড, বার্জার পেইন্টস বাংলাদেশ লিমিটেড, বাটা জুতা কোম্পানি (বাংলাদেশ) লিমিটেড এবং নেসলে বাংলাদেশ পিএলসিসহ বেশ কিছু বহুজাতিক কোম্পানিকে এই নিয়মের আওতায় এনেছে।

আব্দুর রহমান খান বলেন, ‘আমরা প্রাথমিকভাবে প্রযুক্তিগতভাবে অভিজ্ঞ কোম্পানিগুলোকে বেছে নিয়েছি।’

তিনি বলেন, যদিও এনবিআর ই-রিটার্ন সিস্টেমের ওপর মনোযোগ দিয়েছে, তবুও কর প্রশাসন আগের বছরগুলোর মতো নভেম্বর থেকে কর সপ্তাহ চালু রাখবে।

তিনি বলেন, ‘আমরা ঘরে ঘরে গিয়ে সেবা দেবো না। বরং, আমরা আমাদের অনলাইন সেবাকে আরও জোরদার করব। কেউ যদি রিটার্ন দাখিল সম্পর্কে জানতে চান, তাহলে আমরা স্বেচ্ছাসেবকদের মাধ্যমে তাদের সেবা প্রদান করতে পারি।’