রাষ্ট্রপতি-সংবিধান: রাজনৈতিক দলগুলোর অবস্থান জানতে চান হাসনাত

পদত্যাগী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগপত্র নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের পর রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিনের পদত্যাগের বিষয়ে সকল রাজনৈতিক দলের অবস্থান স্পষ্ট করার জোর দাবি জানিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একজন গুরুত্বপূর্ণ সমন্বয়কারী হাসনাত আব্দুল্লাহ।

হাসনাত আব্দুল্লাহ

বুধবার সন্ধ্যায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ দাবি জানান।

সম্মেলনে তিনি রাষ্ট্রপতি ও ‘বাকশালী সংবিধান’ উভয়ের সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, শেখ হাসিনা জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটায় না এমন পদক্ষেপ বৈধতা দিতে এই সংবিধান ব্যবহার করেছেন।

তিনি বলেন, ‘গণআন্দোলনের মাধ্যমে আমরা হাসিনার পতন ঘটিয়েছি, কিন্তু ফ্যাসিবাদী কাঠামো এখনও অক্ষুণ্ণ রয়েছে।’ তিনি জোর দিয়ে বলেন, আন্দোলনের লক্ষ্য ছিল সাধারণ মানুষের আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটায় এমন একটি নতুন রাজনৈতিক সমাধান প্রতিষ্ঠা করা।

তিনি আরও বলেন, ‘যারা গণআন্দোলনকে সমর্থন করেন তারা ১৯৭২ সালের সংবিধানকে সমর্থন করতে পারেন না। এটি ছিল একটি বাকশালী সংবিধান এবং এটি এখন সম্পূর্ণ অপ্রাসঙ্গিক। আমরা ১৯৭২ সালের সংবিধানের সঙ্গে কোনো সম্পর্ক চাই না।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে মধুর ক্যান্টিনে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের (ছাত্রলীগ) একটি মিছিলের বিষয়ে তিনি বলেন, দেশে ‘ছাত্রলীগের পুনর্বাসনের কোনো সুযোগ নেই।’ তিনি নাগরিকদের ৫ আগস্টের পূর্বে যেমন ছাত্রলীগের কর্মকাণ্ড প্রতিরোধ করেছিলেন, তেমনভাবে প্রতিরোধ করার আহ্বান জানান।

জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসির উদ্দিন পাটওয়ারী হাসনাতের অনুভূতির প্রতিধ্বনি করে ফ্যাসিবাদী শাসনের অবশিষ্টাংশ উৎখাত করতে জাতীয় ঐক্যের আহ্বান জানান।

রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিনকে সমালোচনা করে পাটওয়ারী বলেন, ‘চুপ্পু (রাষ্ট্রপতি) ফ্যাসিবাদী শাসনের অংশ। রাষ্ট্রপতি থাকার কোনো অধিকার তার নেই এবং গণআন্দোলনের পর এই শাসনের কোনো উপাদানকে আমরা টিকে থাকতে দেবো না।’

রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিনকে অপসারণের বিষয়ে সকল রাজনৈতিক দলকে তাদের অবস্থান স্পষ্ট করার দাবি জানিয়ে পাটওয়ারী আরও বলেন, ‘ফ্যাসিবাদী শাসন উৎখাত জনগণের দাবি। আমরা চাই প্রতিটি রাজনৈতিক দল এই বিষয়ে তাদের অবস্থান স্পষ্ট করুক এবং চুপ্পুর ভাগ্য নির্ধারণের জন্য একটি রাজনৈতিক সমাধান খুঁজে বের করুক।’

তবে, তিনি রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের দাবিতে বঙ্গভবনের বাইরে বিক্ষোভকারীদের আক্রমণাত্মক কৌশল এড়িয়ে চলার আহ্বান জানান এবং এই বিষয়ে শান্তিপূর্ণ ও রাজনৈতিক সমাধানের আহ্বান জানান।