আরও ৪ কোটি ডিম আমদানির অনুমতি

দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে অতিরিক্ত ৪ কোটি ডিম আমদানির অনুমোদন দিয়েছে সরকার। ১২টি কোম্পানিকে এই আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে। গত সোমবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে প্রধান আমদানি ও রপ্তানি নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়ে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য চিঠি পাঠানো হয়েছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।

ডিম

উল্লেখ্য, এর আগে ৮ অক্টোবর ৭টি কোম্পানিকে সাড়ে ৪ কোটি ডিম আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। সর্বশেষ অনুমোদনের ফলে গত দুই সপ্তাহে মোট ১৯টি কোম্পানিকে ৮ কোটি ৫০ লক্ষ ডিম আমদানির অনুমতি দেওয়া হলো। 

এই অনুমতি চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বলবৎ থাকবে। প্রসঙ্গত, দেশে দৈনিক ডিমের চাহিদা প্রায় ৫ কোটি।

ডিম আমদানির অনুমতি দিলেও সরকার বেশ কিছু শর্ত আরোপ করেছে। প্রথমত, যেসব দেশে বার্ড ফ্লু নেই শুধুমাত্র সেসব দেশ থেকেই ডিম আমদানি করতে হবে। দ্বিতীয়ত, প্রতি চালানের জন্য রপ্তানিকারক দেশের সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্তৃপক্ষের থেকে ডিমগুলো বার্ড ফ্লু ভাইরাস ও ক্ষতিকর জীবাণুমুক্ত এমন সনদপত্র জমা দিতে হবে। তৃতীয়ত, প্রতি চালানের কমপক্ষে ১৫ দিন আগে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের অবহিত করতে হবে। চতুর্থত, অনুমতি পেলে আমদানি সংক্রান্ত অগ্রগতি প্রতি সাত দিন পর পর বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে জমা দিতে হবে।

সম্প্রতি বাজারে ডিমের দাম প্রায় ২০০ টাকা ডজন ছুঁই ছুঁই করছিল। সরবরাহ ঘাটতির কারণে ডজন প্রতি দাম ১৯০ টাকা পর্যন্ত উঠেছিল।

আমদানির অনুমতির পর ডিমের দাম কমে আগের অবস্থায় ফিরেছে। বর্তমানে ডজন প্রতি ১৪৫ থেকে ১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

যদিও কৃষি বিপণন অধিদপ্তর সম্প্রতি ডিমের ‘যৌক্তিক মূল্য’ নির্ধারণ করেছে। এই মূল্য অনুযায়ী উৎপাদন পর্যায়ে ডিমের দাম হবে ১০ টাকা ৫৮ পয়সা, পাইকারিতে ১১ টাকা ১ পয়সা এবং খুচরা পর্যায়ে ১১ টাকা ৮৭ পয়সা। সে হিসেবে ডজন প্রতি দাম হবে ১৪২ টাকা ৪৪ পয়সা।

অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে, বাংলাদেশ ট্রেড এন্ড ট্যারিফ কমিশন ডিম আমদানির ওপর শুল্ক ও কর সাময়িকভাবে তুলে নেওয়ার সুপারিশ করে।

পরবর্তীতে ১৭ অক্টোবর জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ডিম আমদানিতে কর অব্যাহতির ঘোষণা দেয়। এতে শুল্ক ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করা হয়। এই কর সুবিধা ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত কার্যকর থাকবে।