ড. ইউনূসের প্রশংসা করায় অর্থমন্ত্রীর সমালোচনায় প্রধানমন্ত্রী

ক্ষুদ্রঋণের মাধ্যমে দরিদ্রতা দূর হয়েছে উল্লেখ করে নোবেল বিজয়ী ড. মুহম্মদ ইউনূসের প্রশংসা করেছিলেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। এরপরই এই প্রশংসার কড়া সমালোচনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'আমাদের মা-বোনেরা কষ্ট করে মাথার ঘাম পায়ে ফেলে পরিশ্রম করেন। আর সেই লাভ নিয়ে যায় ক্ষুদ্র্রঋণের ব্যবসায়ীরা।'

আজ শনিবার মহিলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এই ব্যাপারে আলোকপাত করেন প্রধানমন্ত্রী। মহিলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় রাজধানীর কৃষিবিদ ইন্সটিটিউট মিলনায়তনে। এতে সভাপতিত্ব করেন মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আশরাফুননেসা মোশাররফ।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'অর্থমন্ত্রী ক্ষুদ্রঋণের প্রশংসা করেছেন। তিনি বলেছেন, ক্ষুদ্রঋণের জন্যই নাকি দরিদ্রতা বিমোচন হয়েছে। আমি বলি বলি যদি এটাই কারণ তাহলে তখন কেন দরিদ্রতা ৬০ ভাগে ছিল। আর এখন কেন তাহলে ২২ ভাগে নেমেছে? অর্থমন্ত্রীকে বলছি, আপনি হিসাব করলেই মেলাতে পারবেন। সরকারের নেয়া নানা পদক্ষেপের জন্যই আজ দরিদ্রতা ২২ ভাগে নেমেছে। আমাদের অর্থমন্ত্রীও নানা পদক্ষেপ নিয়েছেন।'

শেখ হাসিনা বলেন, 'ক্ষুদ্রঋণের মাধ্যমে দরিদ্রতা নির্মূল সম্ভব না, বরং লালন-পালন হয়। ব্যবসায়ীরা আরো সম্পদশালী হন। ক্ষুদ্রঋণের ব্যবসার সঙ্গে জড়িতরাও চান না দরিদ্রতা থেকে সাধারণ মানুষ মুক্তি পাক।'

প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'আসলেই দুঃখ লাগছে, অর্থমন্ত্রী এমন একজনের প্রশংসা করেছেন, যার জন্য পদ্মা সেতু প্রকল্প বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। আমেরিকা থেকে হুমকি দেওয়া হয়েছে। আমার ছেলে জয়কে স্টেট ডিপার্টমেন্টে ডেকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। পরে কানাডার আদালতে প্রমাণ হলো পদ্মা সেতুতে দুর্নীতি হয়নি।'

অর্থমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, 'আওয়ামী লীগের নানা পদক্ষেপের কারণেই দরিদ্রতা বিমোচন হয়েছে। দেশের ৫ কোটি মানুষ নিম্নবিত্ত পর্যায় থেকে মধ্যবিত্তে উঠে এসেছে।'