ঢাকায় যানজট: অবৈধ যানবাহন ও কর্মসূচীই দায়ী!

রাজধানী ঢাকার তীব্র যানজটের জন্য অবৈধ যানবাহন এবং ঘন ঘন রাস্তায় বিভিন্ন কর্মসূচী আয়োজনকেই দায়ী করেছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম। তিনি বলেন, রিকশা ও ভ্যানগাড়িসহ অসংখ্য অযান্ত্রিক যানবাহনের কারণে ঢাকার যানজট পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে পড়েছে। কারণ, নিত্য প্রয়োজন মেটাতে মানুষকে এই সব যানবাহনের ওপর নির্ভর করতে হয়।

ছবি - সংগৃহীত

সোমবার রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক সপ্তাহের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

জনগণের জন্য পর্যাপ্ত গণপরিবহন ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে সরকারের সাফল্য খুব একটা আসেনি বলেও স্বীকার করেন তিনি।

জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘একই রাস্তায় যান্ত্রিক এবং অযান্ত্রিক যানবাহনের এই মিশ্রণ ঢাকায় একটি সুশৃঙ্খল ট্রাফিক ব্যবস্থা বাস্তবায়নকে আরও কঠিন করে তুলেছে।’

তিনি আরও বলেন, রাস্তায় বিক্ষোভ মিছিল, সমাবেশসহ বিভিন্ন ধরনের কর্মসূচীর ফলে রাস্তাঘাটে শৃঙ্খলা ব্যাহত হচ্ছে, যা অসহনীয় যানজটের অন্যতম কারণ।

দেশের সার্বিক যানজট পরিস্থিতির প্রেক্ষাপট তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘আগের ফ্যাসিবাদী সরকারের পতনের পর সারাদেশে যানজট পরিস্থিতির অবনতি ঘটে। রাস্তাঘাটে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার ক্ষেত্রে তখন ছাত্র সংগঠনগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।’

তিনি বলেন, ‘বর্তমান সরকার গঠনের পর থেকে আমরা ঢাকার যানজট সমস্যা সমাধানে পুলিশ এবং নাগরিক সমাজের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করে যাচ্ছি।’

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জানান, অবৈধ যানবাহনের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ শুরু করেছে ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগ। যদিও এখনও যানজট কমাতে উল্লেখযোগ্য কোন অগ্রগতি হয়নি।

তিনি আরও জানান, ট্রাফিক সিগন্যালগুলো আবারও চালু করার জন্য একটি গবেষণা দল কাজ করছে। সরকারি এবং বেসরকারি উভয় ধরনের সংস্থার সহযোগিতায় শীঘ্রই ট্রাফিক সিগন্যালগুলো চালু করা সম্ভব হবে।

যানজট ব্যবস্থাপনায় চালক, ট্রাফিক পুলিশ এবং নাগরিকদের ভূমিকার ওপর জোর দিয়ে তিনি বলেন, ‘এই সমস্যার সমাধান শুধু সরকার বা পুলিশ একা করতে পারবে না। এর জন্য শহরবাসীর সহযোগিতা প্রয়োজন।’

জাহাঙ্গীর আলম জানান, আগামীকাল থেকে ৩০০ শিক্ষার্থী যানজট ব্যবস্থাপনায় ট্রাফিক পুলিশকে সাহায্য করার জন্য রাস্তায় নামবেন। পরে পর্যায়ক্রমে তাদের সংখ্যা বাড়ানো হবে।

ডিএমপি কমিশনার মাইনুল হাসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার প্রতিরক্ষা ও জাতীয় সংহতি বিষয়ক বিশেষ সহকারী লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) আবদুল হাফিজ, যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজিব ভূঁইয়া এবং আইজিপি মো: মঈনুল ইসলাম।