জুলাই হত্যাকাণ্ড: ৮ স্থানে স্মৃতিস্তম্ভ-লাইব্রেরি স্থাপনের নির্দেশ

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ৫ আগস্ট পর্যন্ত যারা প্রাণ হারিয়েছেন তাদের স্মরণে ঢাকা ও ঢাকার বাইরে আটটি স্থানে শহীদ স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ ও পাঠাগার তৈরির নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। গতকাল বৃহস্পতিবার হাইকোর্টের বিচারপতি আতোয়ার রহমান ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হকের বেঞ্চ সুপ্রিম কোর্টের এক আইনজীবীর করা রিটের পরিপ্রেক্ষিতে রুলসহ এই আদেশ দেন।

আবু সাঈদ এখানেই শহীদ হন

রিট আবেদনে ‘৩৬ জুলাই’ (৫ আগস্ট) পর্যন্ত অভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতদের তালিকা তৈরি, আহতদের চিকিৎসা এবং স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের নির্দেশনা চাওয়া হয়। সুপ্রিম কোর্টের ব্যারিস্টার এম আশরাফুল ইসলাম হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় জনস্বার্থে এই রিটটি করেন।

রিটে বিবাদী করা হয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সচিব, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, অর্থ সচিব, গৃহায়ন ও গণপূর্ত সচিব, প্রধান উপদেষ্টার ব্যক্তিগত সচিব-১, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালকসহ ১১ জনকে।

ওই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালতে শুনানি শেষে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী সৈয়দ মামুন মাহবুব। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান।

আদালত '৩৬ জুলাই' ও পূর্ববর্তী অভ্যুত্থানে শহীদদের তালিকা প্রস্তুতির নির্দেশের পাশাপাশি আহতদের দেশে ও দেশের বাইরে চিকিৎসার ব্যবস্থা গ্রহণ এবং প্রতি ৪ মাস অন্তর অন্তর আদালতকে অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।

এছাড়াও, আদালত রাজধানীর যাত্রাবাড়ী-শনিরআখড়া, উত্তরা, মিরপুর-১০ গোল চত্বর, ইসিবি চত্বর, বাড্ডা-রামপুরা, চানখারপুল, মোহাম্মদপুর এবং রংপুরে আবু সাঈদ শহীদ হওয়ার স্থানে স্মৃতিস্তম্ভ ও লাইব্রেরি নির্মাণের জন্য নির্দেশ প্রদান করেন। এই নির্মাণকাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত প্রতি চার মাস অন্তর অন্তর হাইকোর্টে অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিলের জন্য সরকারকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।