চট্টগ্রামে পূজা মন্ডপে ইসলামিক গান গাওয়া ২ জনের জামিন

দুর্গাপূজা মণ্ডপে ইসলামি গান পরিবেশন করে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন চট্টগ্রাম কালচারাল একাডেমির দুই সদস্য। ১৫ অক্টোবর, মঙ্গলবার তাদের জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত।

ছবি - সংগৃহীত

মঙ্গলবার শুনানি শেষে অভিযুক্ত মাদ্রাসা শিক্ষক শহিদুল করিম ও নুরুল ইসলাম জামিনে মুক্তি পান। চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম কাজী শরিফুল ইসলাম তাদেরকে জামিনে মুক্তি দেওয়ার আদেশ দেন।

চট্টগ্রাম নগর পুলিশের উপ-কমিশনার (প্রসিকিউশন) এ এম হুমায়ুন কবির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। শুনানিতে বাদী ও আসামিপক্ষের আইনজীবীরা উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে ১৪ অক্টোবর, সোমবার বাদী ও আসামিপক্ষের আইনজীবীদের মধ্যে তর্ক-বিতর্কের জেরে তাদের রিমান্ড শুনানি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. অলিউল্লাহ রিমান্ড আবেদন নামঞ্জুর করেন।

১১ অক্টোবর, বৃহস্পতিবার রাতে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। ১২ অক্টোবর, শুক্রবার মহানগর পূজা কমিটির অর্থ সম্পাদক সুকান্ত বিকাশ মহাজন বাদী হয়ে নগরীর কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন।

মামলায় পূজা কমিটির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক সজল দত্ত এবং চট্টগ্রাম কালচারাল একাডেমির সদস্য শহিদুল করিম, নুরুল ইসলাম, আবদুল্লাহ ইকবাল, মো. রনি, গোলাম মোস্তফা ও মো. মামুনকে আসামি করা হয়েছে।

মামলার এজাহারে বলা হয়, মহানগর পূজা উদযাপন কমিটি শারদীয় দুর্গাপূজা উদযাপনের সময় জেএম সেন হল প্রাঙ্গণে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। পূজা কমিটি থেকে বহিষ্কৃত সজল দত্ত চট্টগ্রাম কালচারাল একাডেমির একদল শিল্পীকে অনুষ্ঠানে গান গাওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানান। অনুষ্ঠানে দুটি গান পরিবেশন করা হয়েছিল। এর মধ্যে একটি গানে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। বিতর্কের পরও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিকে প্রাধান্য দিয়ে গান বন্ধ করেনি পূজা কমিটি। 

এদিকে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, সেই অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম কালচারাল একাডেমির ছয়জন সদস্য গান পরিবেশন করেন। এর মধ্যে ‘শুধু মুসলমানের লাগি আসেনিকো ইসলাম’ গানটি নিয়েই বিতর্কের সৃষ্টি হয়। বিশেষ করে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও পোস্ট করার পর ঘটনাটি ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দেয়।

পরবর্তীতে চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম পূজা মণ্ডপ পরিদর্শন করেন। তিনি ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে জড়িতদের গ্রেপ্তার করার প্রতিশ্রুতি দেন।