সরকারি চাকরিতে বয়সসীমা বৃদ্ধির দাবিতে শাহবাগে অবস্থান কর্মসূচী

সরকারি চাকরিতে প্রবেশের সর্বোচ্চ বয়সসীমা পুরুষদের ক্ষেত্রে ৩৫ এবং মহিলাদের ক্ষেত্রে ৩৭ বছর করার প্রস্তাব দ্রুত বাস্তবায়নের দাবিতে ঢাকার শাহবাগে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেছেন চাকরিপ্রার্থীরা। আজ সোমবার সকালে জাতীয় জাদুঘরের সামনে এই কর্মসূচিতে যোগ দেন বেশ কয়েকজন চাকরিপ্রার্থী।

ছবি - সংগৃহীত

বর্তমানে সরকারি চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩০ বছর। গত এক দশক ধরে সরকারি চাকরিতে বয়সসীমা ৩৫ বছর করার দাবি জানিয়ে আসছেন চাকরিপ্রার্থীরা। কিন্তু আগের আওয়ামী লীগ সরকার বেশ কয়েকবার এই দাবি প্রত্যাখ্যান করে।

গত আগস্টে ছাত্র আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর বিষয়টি নতুন করে আলোচনায় আসে এবং অন্তর্বর্তী সরকার ৩০ সেপ্টেম্বর সংস্কারের বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য একটি কমিশন গঠন করে।

প্রতিবাদকারীদের দাবি পর্যালোচনা করে পর্যালোচনা কমিটি ইতিমধ্যে তাদের প্রতিবেদন জমা দিয়েছে এবং পুরুষ আবেদনকারীদের জন্য বয়সসীমা ৩৫ এবং মহিলা আবেদনকারীদের জন্য ৩৭ বছর করার সুপারিশ করেছে।

আন্দোলনের একজন সমন্বয়ক মামুন রশিদ বলেন, ‘আমরা ১২ বছর ধরে চাকরির বয়সসীমা বাড়ানোর জন্য আন্দোলন করে আসছি। স্বৈরাচারী সরকারের সময় আমাদের ওপর বারবার হামলা করা হয়েছে।’

‘আমরা বর্তমান সরকারের আমলে ১৪৪ ধারা ভেঙে আমাদের আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছি। এই সরকার আমাদের দাবি যাচাই-বাছাইয়ের জন্য একটি কমিশন গঠন করেছে এবং পুরুষদের জন্য বয়সসীমা ৩৫ এবং মহিলাদের জন্য ৩৭ বছর করার সুপারিশ করেছে। রাষ্ট্র যদি তা মেনে নেয়, আমরা কৃতজ্ঞ থাকব। কিন্তু একদিনও দেরি ছাত্রসমাজ মেনে নেবে না।’

কমিটির সুপারিশ থাকা সত্ত্বেও কেন তারা শাহবাগে জড়ো হয়েছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমরা কোনো আশ্বাসে বিশ্বাস করি না। আমরা আগেও ​​অনেক আশ্বাস পেয়েছি। কিন্তু আমাদের দাবি পূরণ হয়নি। আমরা চাই কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী প্রজ্ঞাপন জারি করা হোক।’

‘আমরা চাই কর্মক্ষেত্রে প্রবেশের সর্বনিম্ন বয়স ৩২ বা ৩৩ নয়, ৩৫ বছর হোক।’

আন্দোলনের আরেক সমন্বয়ক আহমেদ তানজিল বলেন, ‘আমরা দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে আসছি। পরবর্তীতে সরকার একটি কমিটি গঠন করে। আমাদের সাথে আলোচনা করে পাঁচ সদস্যের সংস্কার কমিটি সাত কর্মদিবসের মধ্যে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা পুরুষদের জন্য ৩৫ এবং মহিলাদের জন্য ৩৭ বছর করার সুপারিশ করে।’

‘এই সুপারিশ দ্রুত প্রজ্ঞাপন আকারে প্রকাশের দাবিতে আজকের কর্মসূচি পালিত হচ্ছে।’

তিনি জোর দিয়ে বলেন যে সরকার গঠিত পর্যালোচনা কমিটি তাদের দাবি যুক্তিসঙ্গত বলে মনে করেছে।

‘আজকে উপদেষ্টাদের একটি বৈঠক রয়েছে। তাই আমরা চাই আজকের মধ্যেই যেন প্রজ্ঞাপনটি ঘোষণা করা হয়। প্রজ্ঞাপন না দেওয়া পর্যন্ত আমাদের কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।’